বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজে’লার দড়িরচর খা’জুরিয়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর ও মসজিদের ইমাম শহিদুল ইসলামকে জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানো হয়েছে।
সেই স’ঙ্গে ও’ই দৃশ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।এ ঘটনায় জ’ড়িতদের ক’ঠোর শা’স্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
সা’লিশ বৈ’ঠকের মাধ্যমে তাকে জুতার মালা পরিয়ে ঘোরানোর আ’দেশ দেয়া হয় বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে। বুধবার (৩ জুন) দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
লা’ঞ্ছনার শি’কার শহিদুল ইসলাম দড়িচর খাজুরিয়া দাখিল মাদরাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং স্টি’মারঘাটের অদূরে সিকদার বাড়ি মসজিদের ইমাম।
এ’লাকাবাসী সূ’ত্রে জানা গেছে, দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ির নির্দেশে তার কার্যালয়ে সালিশ বসানো হয়।
এ স’ময় ৮ ন’ম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) শহিদুল ইসলাম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) মো. ফিরোজ, ব’জলু আকন, আবুল বয়াতী, মো. কামরুজ্জমান, রিন্টু দেওয়ানসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যা’পারে ই’উনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা রাঢ়ি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ‘মেম্বার শফি দেওয়ান, ফি’রোজ মেম্বারসহ স্থানীয় গণ্যমান্য বজলু আকন, আবুল বয়াতি ও কামরুজ্জামানের উপস্থিতিতে এ বিচার করা হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘আলাউদ্দিন হুজুর উপবৃত্তির চার হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাত করেন।
এছাড়া ই’ন্স্যুরেন্সের ২০ লা’খ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তার বি’রুদ্ধে। তাকে প্রাথমিকভাবে উপবৃত্তির টাকা ফেরত দিতে বলা হয়।
না দিলে তা’কে জু’তার মালা পরানো হবে বলে বিচারের রায় হলে তিনি জুতার মালা পরতে রাজি হন।’মাদরাসার একাধিক শিক্ষক জানান, ২০১৯ সালে উ’পবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মোবাইল হিসাব নম্বর পাঠানো হয়।
তা’লিকা পা’ঠানোর সময় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী মাদরাসায় না আসায় সেখানে শহিদুল ইসলাম তার মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর এক বছরের উপবৃত্তির ১৮০০ টাকা ওই মোবাইল নম্বরে জমা হয়।
বি’ষয়টি শ’হিদুল ইসলাম ওই ছাত্রীর অভিভাবককে জা’নাতে ভু’লে যান।সালিশ বৈঠকে উপস্থিত হলে শহিদুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়া হয়। এরপর জুতার মালা পরিয়ে স্টিমারঘাট বাজারে ঘোরানো হয়।
এ ঘ’টনার পর ল’জ্জা ও অ’পমানে ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন শহিদুল ইসলাম।উপজে’লা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তপন কুমার দাস বলেন, উপবৃত্তির টাকা নিয়ে যাই হোক, তার বিচারের এখতিয়ার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেই। যা ঘটেছে তা লজ্জাজনক।
মা’দরাসা ক’র্তৃপক্ষ জরুরি সভা তলব করেছেন। সেখানে পরবর্তী করনীয় বি’ষয় নিয়ে আলোচনা হবে। প্রয়োজনে এ ঘটনার সঙ্গে যারা জ’ড়িত তাদের বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হবে।