মহিমান্বিত লা’ইলাতুল ক’দর চেনার উ’পায়।
মু’হাম্মাদ হেদায়াতুল্লাহ : পবিত্র রমজানের সবচেয়ে মহিমান্বিত রাত ২৭ রমজানের রাত। এটি ‘শবেকদর’ বা ‘লাইলাতুল কদর’ হিসেবে পরিচিত।এ রাতকে বিশ্বের মু’সলমানরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পালন করেন। লাইলাতুল কদরের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো—এই গৌরবময় রাতে মানুষের সারা বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করা হয়।
এ রা’তে মানবজাতির মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল-কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই আমি কোরআন নাজিল করেছি লাইলাতুল কদরে। তুমি কি জানো লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সুরা কদর, আয়াত : ১-৩)
দুই. এ রা’তটি রমজানের শেষ দশকে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রমজানের শেষ দশদিনে তোমরা কদরের রাত তালা’শ কর।’ (সহিহ বোখারি)ক. উবাই ইবনে কাব (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি বলেন , আল্লাহর শপথ করে বলছি, আমি যতদূর জানি রাসুল (সা.) আমাদেরকে যে রজনীকে কদরের রাত হিসেবে কিয়ামুল্লাইল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন তা হল রমজানের ২৭ তম রাত।’ (সহিহ মু’সলিম)খ. আবদুল্লাহ বিন উমার থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কদরের রাত অর্জন করতে ইচ্ছুক, সে যেন তা রমজানের ২৭ রজনীতে অনুসন্ধান করে। (মুসনাদে আহমাদ)
গ. ক’দরের রাত হওয়ার ব্যাপারে সম্ভাবনার দিক থেকে পরবর্তী দ্বিতীয় সম্ভাবনা হল ২৫ তারিখ, তৃতীয় হল ২৯ তারিখে। চতুর্থ হল ২১ তারিখ। পঞ্চম হল ২৩ তারিখের রজনী।