প’বিত্র কো’রআন শুধু আ’ল্লাহতায়ালার প্রে’রিত এ’কটি গ্র’ন্থ নয়, বরং এটা এ’কটা ব’ড় নির্দশনও বটে।
আ’ল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিম নাজিল করার স’ঙ্গে সঙ্গে সং’রক্ষণ করারও দায়িত্ব নিয়েছেন নিজে।
সৃ’ষ্টিকর্তা আ’ল্লাহতায়ালা কো’রআনে কা’রিমকে বি’ভিন্নভাবে সং’রক্ষণ করছেন এবং কে’য়ামত অবধি তা সংরক্ষণ করবেন।
কো’রআন সং’রক্ষণের অ’ন্যতম একটি মাধ্যম হচ্ছে- মা’নুষের মাধ্যমে কো’রআন মু’খস্থ করা। যাকে আমরা হি’ফজ বলি।পৃ’থিবীতে যত ধ’র্মগ্রন্থ আছে তন্মধ্যে কেবল কো’রআনই মু’খস্থ করা হয়।
তাই পৃথিবীতে অ’সংখ্য অ’গণিত কো’রআনের হা’ফেজ বিদ্যমান।শা’রীরিকভাবে দুর্বল ও অ’সুস্থ একটি ছেলে মাত্র ২ মাস ৫ দিনে পুরো কো’রআন মু’খস্থ করেছে ‘হাফেজ’ খেতাব অর্জন করেছে। এই কী’র্তিমান হা’ফেজ ঝিনাইদহের কো’টচাঁদপুর কওমি কে’রাতুল মা’দরাসার শি’ক্ষার্থী।
৯ বছর বয়সী এই কৃতি ছাত্রের নাম আহমাদ তাইমিয়া।সে কো’টচাঁদপুর উপজে’লার বা’লিয়াডাঙ্গা গ্রা’মের আসলাম হো’সেনের ছেলে।
এ’মন মেধাবী শি’শু কী’র্তি নিয়ে এ’লাকায় চলছে তুমুল আলোচনা। অনেকে এই শি’শু হাফেজে কো’রআনকে দেখতেও আসছেন।
অল্পসময়ে কোরআন মুখস্থ করা প্র’সঙ্গে কো’টচাঁদপুর কওমি কেরাতুল মা’দরাসার প’রিচালক মু’ফতি ই’বরাহিম খ’লিল জানান, ২ বছর আগে শি’শু তাইমিয়া এই মাদরাসায় ভর্তি হয়।
সেখানে না’র্সারি ও প্রথম শ্রেণি শেষ করে। এর পর গত ব’ছরের জুলাই মাসে কো’রআনে কা’রিম পড়া শুরু করে। প্রথমে সহিহ-শু’দ্ধভাবে দেখে দেখে কোরআন তেলাওয়াত শেখা শেষে কোরআন শরিফ মু’খস্ত শুরু করে শুরু করে।
গত ১৯ জা’নুয়ারি তার ৩০ পাড়া কো’রআন মু’খস্ত শেষ হয়। মা’দরাসার প’রীক্ষা, ছুটি বাদ দিয়ে মাত্র ৬৫ দিনে তাইমিয়া কোরআনে কা’রিমের হাফেজ হয়েছেন।মু’ফতি ই’বরাহিম আরো বলেন, আমাদের প্রত্যাশা- আল্লাহতায়ালা তাকে দ্বীনের জন্য কবুল করবেন।
শি’শু হাফেজ তা’ইমিয়ার পিতা আসলাম হোসেন বলেন, আমার আশা ছিল ছেলেকে কোরআনের হাফেজ বানানোর। আমার সেই আ’শা পূরণ হয়েছে। তাইমিয়ার বাবা ও তার পরিবারের ইচ্ছা সে যেন বড় আ’লেম হয়।
এদিকে ১২০ দিনে (৪ মাস) কোরআন শরীফ মু’খস্ত করলো আ’ব্দুর রহীম। ৯ বছর বয়সের এই এ’তিম শি’শুটি ক’ক্সবাজার খা’নকায়ে হামেদিয়া এতিমখানা ও হে’ফজখানার ছাত্র।
কক্সবাজারের টেকনাফের মধ্যম হ্নীলা গ্রামের ম’রহুম নু’রুল আ’জিমের পুত্র সে। ২ ভাই ২ বোনের মধ্যে আ’ব্দুর রহীম তৃ’তীয়।শি’শু হাফেজ আব্দুর রহিমের পিতা নুরুল আ’জিম চার বছর আগে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় নৌ’কাডুবির ঘটনায় মা’রা যায়। মা ফা’তেমা বেগমের বিয়ে হয়ে অন্যত্র।
তাই এ’তিমখানায় মানুষ হচ্ছে শি’শুটি।বাবার মৃ’ত্যু ও মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ায় অনেকটা কুলহীন হয়ে পড়ে আ’ব্দুর র’হীম। এরপর দাদা-দা’দীর কাছে থাকতে শুরু করে সে।
দাদা ইউছুপ ও দা’দী সারা খা’তুনের ত’ত্ত্বাবধানে ভ’র্তি হয় ক’ক্সবাজার স’দর হা’সপাতাল সড়ক সং’লগ্ন খানেকায়ে হামেদিয়া এতিমখানা ও হেফজ খানায়।প্র’তিষ্ঠানটির শি’ক্ষক হাফেজ না’জমুল কামাল জানান, আ’ব্দুর র’হীম খুবই মেধাবী ও শান্ত ছেলে। এক বৈঠকেই পুরো তি:রিশ পারা কোরআন শরীফ শু:নিয়েছে সে।
এতিমখানার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব তাকে সহযোগিতা করা হয়। তিনি বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, সঠিক পৃ’ষ্ঠপোষকতা, অ’ভিভাবকত্ব না পেলে মে’ধাবী শি’শুটির পড়ালেখা ও ভবি’ষ্যত জী’বন অ’নিশ্চিত হয়ে পড়বে।
এ প্রসঙ্গে এতিম খানার ত’ত্ত্বাবধায়ক সালাহ উদ্দিন আহমদ জানান, আব্দুর রহীমের প’ড়ালেখার বি’ষয়টি ক’র্তৃপক্ষের নজরে আছে।
তবে শি’ক্ষানুরাগী বি’ত্তবানরা তার প’ড়ালেখার স’হযোগিতায় এগিয়ে এলে আমরা স্বাগত জানাব।
হা’ফেজ আ’ব্দুর র’হীম বড় হয়ে ই’সলামের এ’কজন দা’ঈ ও খ্যা’তনামা আ’লেম হতে চায়।
সে স’কলের দোয়া চায়।