টানা বৃ’ষ্টির প্রভাবে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে মুন্সীগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্টে আজ বৃহস্পতিবার সকালে পদ্মা নদীর পানি বিপৎ’সীমার ৮৫ সেন্টিমিটার এবং মাওয়া পয়েন্টে ৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত
হয়, যা বিগত কয়েকদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।এদিকে, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পদ্মা সংলগ্ন তিনটি উপজেলা টঙ্গিবাড়ী, লৌহজং ও শ্রীনগরের মোট ১৩টি ইউনিয়নের বেশিরভাগ এলাকা প্লা’বিত হয়েছে। ডুবে গেছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। পানিবন্দি রয়েছে শতাধিক গ্রামের প্রায় ৭০
হাজার মানুষ। বেশ কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। বিশুদ্ধ পানির সংকটের পাশাপাশি শুকনো খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে।এদিকে, ঈদের আগে পানি কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।মুন্সী’গঞ্জ জেলা পাউবোর সহকারী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, উজান থেকে
নেমে আসা স্রোতে প’দ্মায় আগামী কয়েকদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ঈদের আগে পানি কমার সম্ভাবনা নেই বলেও তিনি জানান।এদিকে, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য চাল, শু’কনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে আশ্রয়ণ কেন্দ্র।