যুবককে নি’যার্তন করে ই’য়াবা দিয়ে ফাঁ’সানোর চেষ্টা চে’য়ারম্যানের।
লা’লমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের র্টচার সেল থেকে নুরুজ্জামান নামে এক যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। আহত ওই যুবককে প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ’দিকে শনিবার সন্ধ্যায় সরকার দলীয় ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে উদ্ধারকৃত ২৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট কার?
এ’নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে স্থানীয়দের মাঝে। অনেকেই বলছেন, মাদক বিরোধী কথা বলায় নুরুজ্জামানকে ওইদিন দিন-দুপুরে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছে চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন। এ সময় ২৭০ পিস ইয়াবা দিয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার ওই যুবককে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়।
ত’বে স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে।অপরদিকে এনিয়ে শনিবার রাতে চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এতে সরকার দলীয় ওই চেয়ারম্যানের নাম থাকায় রবিবার বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়নি।
ফ’লে শেষ পর্যন্ত লিখিত ওই অভিযোগ থেকে চেয়ারম্যান মহির উদ্দিনের নাম বাদ দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে জাওরানী বাজারে এমদাদুলের চায়ের দোকানে বসে নাস্তা করছিলেন নুরুজ্জামান। হঠাৎই চেয়ারম্যানের ছেলে জাহাঙ্গীর, ভাই মনসুর ও গ্রাম পুলিশ শামিম প্রকাশ্যে জোর করে তাকে টেনেহিঁচড়ে বের করে চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তার হাত-পা বেঁধে বেধড়ক লাঠি, রড, হাতুরি দিয়ে পেটানো হয়।
এ স’ময় তার আত্মচিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করেন।এছাড়া হত্যার জন্য ফাঁকা ইনজেকশন শরীরে বেশ কয়েকবার পুশ করার চেষ্টা করে। চেয়ারম্যানের পুরো পরিবার মাদক ব্যবসায় জড়িত।
তা’দের বিরুদ্ধে কেউ গেলে তাকে তারা বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়।এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর উদ্ধরকৃত ইয়ার বিষয়ে তদন্ত করা হবে’।