রমজানেও মু’ক্তি মিলেনি ভারতের কা’রাগারে বন্দী অ’ন্তঃসত্ত্বা মু’সলিম শি’ক্ষার্থীর।
উ’চ্চ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা দিল্লির তিহার জে’লে রমজান কাটছে জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া (জেএমআই) বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সফুরা জারগারের। তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আল জাজিরা। ২৭ বছরের এই নারী প্রথম গর্ভাবস্থার শেষদিকে রয়েছেন।
গত ১০ এপ্রিল তাকে গ্রে’প্তার করা হয়। তার বি’রুদ্ধে স’ন্ত্রাস-বি’রোধী আইন, বেআইনি কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ আইন ২০১৯ (ইউএপিএ) এর অধীনে অ’ভিযোগ এনেছে দিল্লি পুলিশ।বিশ্ববিদ্যালয়ে দেয়ালে আঁকা প্রতিবা’দী শিল্পকর্মের অন্যতম শিল্পী কাউসার জান। তিনি বলেন, “সফুরা ছিলেন জেসিসির সবচেয়ে শক্তিশালী নারী কণ্ঠস্বর।” নাম প্রকাশ না করে একজন শিক্ষক বলেন, “সে স্পষ্টবা’দী ও ক’ঠোর পরিশ্রমী।
তি’নি আশা করেন এই গবেষকের শিক্ষাক্রম ও শা’রীরিক অবস্থা বিবেচনা করে বিচার বিভাগ মুক্তি দেবে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সফুরার আইনজীবী জানান, নারী ও শি’শুদের নিয়ে বি’ক্ষো’ভ ও যান চলাচলে বা’ধার মা’মলায় তিনি জা’মিন পান। কিন্তু মুক্তির আগেই পুলিশ অন্য মা’মলায় গ্রে’প্তার করে।
এ’মনকি তার বি’রুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অ’ভিযোগ জানাতেও অস্বীকার করে। আ’দালতের আদেশের পরই পুলিশ ইউএপিএ আইনে অ’ভিযোগ দেখায়। অস্পষ্ট এই সব অ’ভিযোগের কারণে ঝুঁ’কির মুখে পড়েছে সফুরার অনাগত স’ন্তান।ফৌজদারি আইনে সাধারণত তিন মাস সময় পায় পুলিশ।
অ’ন্যদিকে ইউএপিএর ক্ষেত্রে অ’ভিযোগ দা’য়েরের সময় থাকে ছয় মাস। যা মূলত অ্যাক্টিভিস্টদের দ’মনের কৌশল। একজন সাধারণ শিক্ষার্থীদের বি’রুদ্ধে এই আচরণে দিল্লি পুলিশের নিরপেক্ষ’তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে।সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ব্রিন্দা গ্রোভারের মতে, লকডাউনের মধ্যে পরিস্থিতিতে যখন ন্যায়বিচারের পথ ক্ষীণ, তখন ইউএপিএ শান্তিপূর্ণভাবে সিএএ-বি’রোধী আন্দোলনের অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ব’ন্দি করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
স’ফুরা শারী রিকভাবে ঝুঁ’কির মধ্যে রয়েছেন, তাকে জে’লে নিতে আদেশ দেওয়ার জন্য আ’দালত পুরোপুরি দায়বদ্ধ।সফুরার স্বামী জানান, প্রথম স’ন্তানের আগমনের মুহূর্ত খুবই খুশির। এই সময় জে’ল নয় সফুরার দরকার পরিপূর্ণ যত্ন। তিনি স্ত্রীর নিরপত্তা ও মুক্তি চান।