রহস্য’ময় কি’ম, পথের কাটা’দূর কর’তে হত্যা করেছিলে’ন প্রেমিকা’কেও।
মা’স কয়েক আগে’র আন্তর্জাতি’ক গণমাধ্যমে’র সংবাদ’গুলো পড়লে দেখা যাবে,
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে স্বৈ’রাচার বলেই আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এখনো হয়’তো আখ্যা দেওয়া হয়।
কি’ন্তু কিছু’টা হলেও এর ধরন পাল্টে’ছে।
স’বশেষ আলোচনায় এসেছেন প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে জন’সম্মুখে না এসে। হার্ট অ্যাটা’ক অথবা করোনা’য় মারা’গেছেন এমন গুজব’ও ছড়িয়ে পড়ে বিশ্ব’জুড়ে।
অব’শেষে ১ মে জনসমক্ষে হাজির হয়েছেন তিনি। দেশ’টির রা’ষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে,
শুক্রবার কিম একটি রাসায়’নিক সার উৎপাদ’নের কারখানা উদ্বোধন করেছে’ন। গু’জবের কেন্দ্রে আসা উত্তর কোরিয়া’র এ নেতা আসলে অসুস্থ ছিলেন’না। এমন’কি তার কোনো ধরনের অস্ত্রো’পচারও হয়’নি। ২০১১ সা’লে কিম জং উন তার বাবা এবং উত্তর কোরিয়া’র সাবেক স্বৈর’শাসক কিম জং ইলের মৃত্যু’র পরে স্বৈর’শাসক হিসাবে’ই দেশে’র শাসনভা’র হাতে নেন। নিজে’র বাবা এবং দাদা’র মতো’ই, কিম জং উনেরও দেশে’র জন’জীবন সম্প’র্কে সুনির্দিষ্ট জ্ঞান নেই,
তবে শোনা যায় তিনি নাকি সাত-আট বছর ধরে সুইজার’ল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন। নিজে’র পরিচয় গোপন করে উত্তর কোরিয়া দূতাবা’সের এক কর্মীর চালকের ছেলে পরিচয়েই সেখা’নে পড়া’শোনা করেন কিম। এর’পরে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সুং মিলিটারি বিশ্ব’বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন। দেশের শাসন ক্ষমতা গ্রহণে’র পরে, কিম জং তার সম্প’র্কে ব্যাপক প্রচার করতে শুরু করেন। তা’কে এক’সময় গোটা বিশ্বের কাছে গ্রেট সাকসেসর এবং আউটস্ট্যান্ডিং লিডার হিসাবেই পরিচয় দেওয়া শুরু হয়।।
কো’রিয়ান এজেন্সিগু’লি তাকে এমন এক’মহান ব্যক্তি হিসাবে সকলের সামনে ভাব’মূর্তি গড়ে দিতে চায় যেন তিনি স্বর্গ থেকে নেমে এসে’ছেন। উত্ত’র কোরিয়া সব’সময়েই তার পারমাণবিক পরীক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত নানা বিষয়’নিয়ে বিতর্কেও কেন্দ্র’বিন্দুতে ছিল এবং আন্তর্জাতিক স¤প্রদায় সবসময়ই তাই এ দেশ’টির বি’রোধিতা করে এসেছে। কিম জং উনও তার বাবা’র মতো এ বি’ষয়গুলো নিয়ে’ই একগুঁয়েমি নীতি অনুসরণ করে চলে’ন।
কিম জং উনের বি’রুদ্ধে রাজ’নৈতিক ষড়’যন্ত্র করার মতোও অ’ভিযোগ উঠেছে বেশ কয়েকবার।
এমন’কী’ এ অভি’যোগও ওঠে যে নিজের দেশেই তার বাবার আমলে কাজ করেছেন এমন তিন মন্ত্রী এবং ৭ জন জেনারেলকে পদ থেকে বহিষ্কার করেন তিনি। বেশ কয়েকজন’কে হ’ত্যা করা হয় বলেও খবর র’টে।
স’বসময় ক্ষ’মতার অহঙ্কার করেন কিম জং উন।
এ’মনকী’ এ ক্ষমতার অহংকারেই তিনি নাকি তার এক ঘনিষ্ঠ শক্তিমান নেতা এবং বান্ধবীকেও হ’ত্যা করতে পিছুপা হননি, এমন অ’ভিযোগও রয়েছে তার বি’রুদ্ধে। কিম জং উন’কে নিয়ে যখনই কোনও বিতর্ক দানা বাধে, তখনই তিনি কী’ভাবে যেন উধাও হয়ে যান। এর আ’গেও দেখা গেছে,২০১৪ সালে’র প্রথম দিকে তিনি টানা ৪০দিন গায়েব ছিলেন।
এবারে’ও, ২০দিন লোক’চক্ষুর আড়ালে থাকার পরে হঠাৎ করেই আবার ফিরে এলে’ন তিনি। অথ’চ পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে কিম জং উন মারা গেছেন এ খবর’টা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সেই পরিস্থি’তি থেকে হঠাৎ আবার উদয় তার।
গত ১৫এপ্রিল কিম জং উন নিজের দাদা’র জন্ম’দিনের অনুষ্ঠানেও অংশ নেননি। তারপরে’ই তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে নানা খবর প্রকাশিত হতে থাকে বিভিন্ন সংবাদ’মাধ্যমে। এমনকী’, কেউ কেউ তো তিনি মা’রা গেছেন বলেও রিপোর্ট প্রকাশ করে ফে’লে। কি’ন্তু বাস্তবে দেখা গেল বহাল তবিয়তেই আছেন কিম। তবে তি’নি মাঝে’মাঝেই কোথায় উধাও হয়ে যান আর কেনই বা যান, তা কিন্তু এখন বড় র’হস্য পুরো বিশ্বের কাছেই ।