রো’জা ভে’ঙে হি’ন্দু বৃদ্ধাকে র’ক্ত দিয়ে বাঁ’চালেন মু’সলিম গৃ’হবধূ।
ক’রোনার মধ্যেই দেখা গেল এক সম্প্রীতির ছবি। রোজা ভে’ঙে এক হিন্দু নারীকে র’ক্ত দিলেন মু’সলিম গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাটে। জোৎস্না রায়, ৬০ বছর বয়স।ইদানিং জোৎস্নাদেবীর শরীরের অবস্থা যথেষ্টই সং’কটজনক হতে শুরু করে। রানাঘাটের একটি বেস’রকারি নার্সিং হোমে ভর্তি করানো হয় তাকে।
না’র্সিং হোমে ভর্তি করার পরই চিকিৎসকরা জানান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জোৎস্না রায়কে র’ক্ত দিতে হবে। তার র’ক্তের গ্রুপ O+।ক’রোনার জেরে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাঙ্কে র’ক্তের সং’কট। মায়ের র’ক্ত জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় জোৎস্নাদেবীর বিবাহিত মেয়ে বিশাখা পান্ডেকে। বিভিন্ন জায়গায় র’ক্তের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে লকডাউনের সময় মায়ের জন্য র’ক্ত জোগাড় করতে পারেননি তার মেয়ে বিশাখা পান্ডে।
এ’ই অবস্থায় একটি সংগঠনের সন্ধান পান জোৎস্নাদেবীর মেয়ে। রানাঘাটে এই সংগঠনটি তৈরি হয়েছে ক’রোনা মো’কাবিলার জন্য।এই সংগঠনের কাজ হল ক’রোনার সময় চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্ত ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করা। কোন জায়গায় র’ক্ত না পেয়ে ওই সংগঠনটির কাছে মায়ের 0+ র’ক্তের জন্য লিখিত আবেদন করেন জোৎস্নাদেবীর মেয়ে বিশাখা পান্ডে।
সে’ই সংগঠনের এক সদস্য রুম্পা খোন্দকার।রোজা ভাঙতে আরও ১৪ দিন বাকি। কিন্তু ১৪ দিন বাকি থাকতেই রোজা ভে’ঙে সং’কটজনক জোৎস্না রায়কে র’ক্ত দিলেন মু’সলিম গৃহবধূ রুম্পা। রানাঘাট হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই র’ক্ত দিতে দিতে রুম্পা জানান, ‘র’ক্তের রং একটাই লাল। মানুষের প্রা’ণ বাঁচাতে হিন্দু বা মু’সলিম এই ভেদাভেদ করা উচিত নয়। রোজা আগামী বছরও করতে পারব। কিন্তু এক বোতল র’ক্ত দিয়ে এক মুহূর্ষু রো’গীর প্রা’ণ বাঁচিয়ে অনেক বেশি পূণ্য অর্জন করেছি।’
পা’শাপাশি মায়ের প্রা’ণ বাঁচানোর পর রুম্পা খোন্দকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জোৎস্না রায়ের মেয়ে বিশাখা পান্ডে জানান, ‘র’ক্তের কোন ধর্ম বা জাত হয় না। রুম্পা আজ সমাজের বুকে সেটা প্রমাণ করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এটা সব ধর্মের মানুষকে সঠিক দিশা দেখাবে।
র’ক্ত দেয়ার পর জোৎস্নাদেবীর শা’রীরিক অবস্থা সামান্য স্থিতিশীল হলে বি’পদমুক্ত নয়। তবে জোৎস্নাদেবীর দুই মেয়ের চেষ্টা যাতে বিফলে না যায় সেই প্রার্থনা করেছেন দুই পরিবারের সদস্যরা।