শ’পিং ম’ল-মার্কেট খোলা রাখার বি’ষয়ে ডিএমপির ১৪ নির্দেশনা।
দে’শে ক’রোনাভা’ইরাসে সং’ক্র’মণ পরিস্থিতিতে ঢাকা মহানগরীতে শপিং মল ও মার্কেট খোলা রাখার বি’ষয়ে ১৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃ’হস্পতিবার (৭ মে) ডিএমপির কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম নির্দেশনাগুলো জারি করেন।
ডি’এমপির নি’র্দেশনাগুলো হলো—১. স’রকার ঘোষিত নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শপিং মল ও দোকান খোলা রাখা যাবে।
ত’বে ফু’টপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার,ফেরিওয়ালা বা অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেওয়া যাবে না।
২. ক’রোনাভা’ইরাসে প্র’তিরোধে ক্রেতারা তাদের নিজ নিজ এলাকার দুই কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিং মলে ঘোষিত সময়ের মাঝে কেনাকা’টা করতে পারবেন।
এ’ক এ’লাকার ক্রেতা অন্য এলাকায় অবস্থিত শপিং মলে কেনাকা’টা বা গমনাগমন করতে পারবেন না।
৩. ব’সবাসের এ’লাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রত্যেক ক্রেতা তার নিজ নিজ পরিচয়পত্র (যেমন— ব্যক্তিগত আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের মূল কপি ইত্যাদি) বহন করবেন এবং তা শপিং মলের প্রবেশমুখে প্রদর্শন করবেন।
৪. প্র’ত্যেক শ’পিং মলের প্রবেশমুখে স্বয়ংক্রিয় জী’বাণুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন করতে হবে এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
এ’ছাড়া, প্র’ত্যেক দোকানে পৃথকভাবে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৫. প্র’তিটি শ’পিং মলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ ম’ন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।
মা’স্ক প’রিধান ব্যতীত কোনও ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবেন না।
স’ব বি’ক্রেতা ও দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরিধান করতে হবে।
৬. প্র’তিটি শ’পিং মল/বিপণি বিতানের সামনে সতর্কবাণী ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে, মৃ’ত্যু ঝুঁ’কি আছে’ সংবলিত ব্যানার টানাতে হবে।
৭. প্র’তিটি শ’পিং মলে প্রবেশ, বাহির ও কেনাকা’টার সময় ক্রেতা-বিক্রেতাকে কমপক্ষে এক মিটার (প্রায় ৪০ ইঞ্চি) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
এ’ই নি’রাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে যত জন ক্রেতা অবস্থান করতে পারেন, তার বেশি ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।
৮. সা’মাজিক দূ’রত্ব বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দোকানের সামনে দূরত্ব মেপে মার্কিং করতে হবে।
৯. শ’পিং ম’লগুলোতে বয়স্ক, শি’শু ও অ’সুস্থদের (হৃদরো’গ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য) গমনাগমনে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
১০. কে’নাকা’টা শে’ষে মার্কে’টে অযথা জটলা বা ভিড় সৃষ্টি করা যাবে না।
যা’দের কে’নাকা’টা শেষ হয়ে যাবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে তাদের বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।
১১. শ’পিং ম’লগুলোতে প্রবেশ ও বের হওয়ার আলাদা পথ নির্ধারণ করে দিতে হবে।
১২. যা’রা মাস্ক না পড়ে আসবেন তারা মার্কেট থেকে কিনে নেবেন। অন্যথায় যাতে মার্কে’টে প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে।
১৩. প্র’ত্যেক শ’পিং মলের পার্কিং লটে গাড়ি জী’বাণুমুক্তকরণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়া, ড্রাইভাররা যাতে একত্রিত হয়ে আড্ডা না দেয় এবং নিজ নিজ গাড়িতে অবস্থান করে সে বি’ষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
১৪. শ’পিং ম’লগুলোতে যাতায়াতের জন্য সীমিত পরিসরে সাধারণ রিকশা ও সিএনজি চালু থাকবে।
ত’বে সি’এনজিতে দুই জনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে নিরুৎসাহিত করা হলো।
প্র’ত্যেক যা’ত্রী এবং চালক মাস্ক পরিধান করবেন।