নী’লফামা’রীতে গৃহবধূ হ’ত্যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃ’ত্যুর র’হস্য উদঘাটনসহ তিন আ’সামিকে গ্রে’ফতার করেছে পু’লিশ। সদর উপজে’লার খো’কশাবাড়ি ইউনিয়নের হালিরবাজার মাস্টারপাড়ার গৃহবধূ মীনা রাণী ঋষিকে (২০) শ্বশুড়ের নেতৃত্বে হ’ত্যা করা হয়।
ওই হ’ত্যাকা’ণ্ডে অংশ নেন স্বামীসহ শ্বশুড় পরিবারের লোকজন। পারিপারিক ক’লহের জে’রে মুখে ও যৌ’নাঙ্গে মাটি প্রবেশ করিয়ে শ্বা’সরো’ধ করে হ’ত্যা করা তাকে। নি’হত মীনা ওই গ্রামের তি’মোথীয়ো ঋষির স্ত্রী’। শনিবার দুপুরে নীলফামা’রী পু’লিশ সু’পারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনু’ষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জা’নান পু’লিশ সুপার মোহাম্ম’দ মোখলেছুর রহমান।
সং’বাদ সম্মেলনে পু’লিশ সুপার বলেন, গত ২৮ মে সকালে খো’কশাবাড়ি ইউনিয়নের মাস্টারপাড়াস্থ শ্বশুড়বাড়ির পাশে হা’লিরবাজার সংল’গ্ন এম ইউ উ’চ্চ বি’দ্যালয়ের পিছনে শুকনো একটি ডোবা থেকে মীনা রানী ঋষির অর্ধন’গ্ন ম’রদে’হ উ’দ্ধার করে পু’লিশ।
এর আ’গে গত ২৭ মে রাতে পারিবারিক ক’লহের জে’র ধ’রে তাকে হ’ত্যা করে শ্বশুড়, স্বামী, সৎ শাশুড়ি এবং কা’কি শাশুড়ি।গত ২৮ মে প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদে পু’লিশের কাছে এবং ২৯ মে বিকেলে ঘ’টনার সত্যতা স্বী’কার করে নীলফামা’রী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকী’ম জাহিদ হা’সানের কাছে জবানব’ন্দি দেন নি’হতের স্বামী তিমোথিয়ো ঋষি (২১), সৎ শাশুড়ি শিউলী রাণী ঋষি (৪২) এবং কাকি শাশুড়ি মিনতী রাণী ঋষি (৩৬)।
শ্ব’শুড়ের বি’রুদ্ধে এমন অ’পবাদ দেওয়ায় মীনাকে শা’রীরিক এবং মা’নসিক নি’র্যাতন করতো স্বামী তিমোথীয়ো। ওই নি’র্যাতন সহ্য ক’রতে না পেরে গত ২৭ মে রাত ১১টার দিকে বাবার বাড়িতে ফি’রে যাওয়ার প্র’স্তুতি নিলে বা’ধা দেয় স্বামীর পরিবারের লোকজন। এসময় কৌশলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় মীনা। তাকে ধ’রতে ধা’ওয়া করে স্বামীর পরিবারের লোকজন।
এ’কপর্যায়ে বা’ড়ির পাশে হালীর বাজার সংল’গ্ন এম.ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনের ডোবার পাশে মীনাকে বসে থাকতে দেখে স্বামীর পরিবারের লোকজন। এসময় শ্বশুড় গনেশ ঋষির নির্দে’শে মিনার হাতপা চে’পে ধ’রে সৎ শাশুড়ি শিউলী রাণী, কাকী’ শাশুড়ি মিনতী রাণী ও স্বামী তিমোথীয়ো। এরপর শ্বশুড় গনেশ মীনার গ’লা ও মুখ চে’পে ধ’রে শ্বা’সরো’ধ করে হ’ত্যা করে।
মী’নার মৃ’ত্যু নি’শ্চিতের পর ঘ’টনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য তার মুখে ও যৌ’নাঙ্গে মাটি প্রবেশ করিয়ে ম’রেদহ অর্ধন’গ্ন অব’স্থায় ফে’লে রেখে চলে যায় তারা।এরপর মীনা নিখোজ হয়েছে ম’র্মে প্রতিবেশিদের বা’ড়িতে খোঁজাখুজি করে বাড়িতে ফি’রে যায়।
প’রের দিন সকালে প্রতিবেশিদের মাধ্যমে মীনার ম’রদে’হ প’ড়ে থাকার খবরে ঘ’টনাস্থলে ছুটে আসেন তারা।
স’দর থা’নার ভা’রপ্রাপ্ত ক’র্মক’র্তা মমিনুল ইস’লাম বলেন, মীনা রাণী ঋষি হ’ত্যাকা’ণ্ডের ঘ’টনায় ২৮ মে বিকেলে নি’হতের ভাই সুকুমা’র ঋষি বা’দী হয়ে একটি হ’ত্যা মা’মলা করেন।
ও’ই মা’মলায় মী’নার স্বামী, সৎ শাশুড়ি ও কাকী’ শাশুড়িকে গ্রে’প্তার দেখিয়ে গত ২৯ মে নীলফামা’রী জ্যেষ্ঠ বিচারকি হাকী’ম জাহিদ হাসানের আ’দালতে হাজির করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বী’কারোক্তিমূলক জবানব’ন্দি দেন।
তা’দের কা’রাগারে পা’ঠানো হয়েছে। তবে মা’মলার অন্যতম আসামী মীনা রানীর শ্বশুড় গণেশ ঋষি ঘ’টনার পর থেকেই প’লাতক রয়েছেন।