বিএনপির মহাসচিব মি’র্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার যেমন একবারেই ব্য’র্থ, চরম উদাসীনতা, অবহেলা ও দুর্নীতির কারণে যেমন গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, একইভাবে বন্যা’র বিষয়েও সরকারের নীরবতা, নিষ্ক্রিয়তা, মানুষকে আতঙ্ক’গ্রস্ত করেছে। একজন মন্ত্রী তো
বলেই ফেললেন, ‘বন্যা’র বিষয়ে এতটুকুও চিন্তিত নই।’” আজ সোমবার দুপুরে এক ভার্চু’য়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভারতের সঙ্গে যে অভিন্ন নদী প্রায় ১৫৪টি। একমাত্র পদ্মার ফারাক্কা বাঁ’ধ ছাড়া কোনোটারই কোনো পানিবণ্টন চুক্তি ভারতের অনীহার কারণে সম্পন্ন হয়নি। তিস্তার চুক্তির কথা এই সরকার ফলাও করে প্রচার করলেও গত এক দশকে কোনো চুক্তিই করতে সক্ষম হয়নি। অথচ একের পর এক ট্রানজিট, বন্দর ব্যবহার, বিদ্যুৎ ক্রয়সহ
অসংখ্য অসমচুক্তি স্বা’ক্ষর করেছে। অন্যদিকে, সীমান্তে প্রায় প্রতিদিন ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশিদের গুলি করে হত্যা করছে। সে ব্যাপারেও সরকার কোনো কার্যকর প্রতিবাদ জানাতে সাহস পায়নি। এই সরকারের নতজানু প’ররাষ্ট্রনীতির কারণে প্রায় প্রতিবছর বাংলাদেশের নদী ‘অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষেরা এই বন্যায় আক্রান্ত হয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। ভারত-
বাং’লাদেশ যৌথ নদী কমিশন প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়েছে।’ফখরুল বলেন, ‘এই যে প্রতিদিন গণমাধ্যমে আসছে, বন্যার্ত মানুষের আহাজারি, তাদের অসহায়ত্বের কথা, সহায়’সম্বল হারিয়ে সড়কের অথবা বাঁধের ওপরে আশ্রয় নেওয়া, শি’শুসন্তান, বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে অভুক্ত থাকা—এ বিষয়গুলো তাদের চিন্তিত করে না। তারা তো ধরাছোঁয়ার বাইরে। জনগণের
কাছে তাদের জবাবদিহি করতে হয় না; বরং দুর্নীতির নতুন সুযোগ সৃ’ষ্টি হলো বলে করোনা-বন্যা এসব দুর্যোগ এলে তারা খুশি হয় ।’বিএনপির শীর্ষ এ নেতা বলেন, ‘বিএনপি সব সময়ই যেকোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়। স’র্বশেষ করোনা দুর্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি। বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সি’দ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় স্থায়ী
কমিটির সদস্য সাবেক ম’ন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে আহ্বায়ক করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে একটি জাতীয় ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা অবিলম্বে কাজ শুরু করবেন।’ দুর্গ’ত এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সব নেতাকর্মী এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।