সা’তক্ষীরার উপকূলে ঝড় তুলেছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। ইতোমধ্যে প্রচুর ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে উপকূলীয় এলাকায়। মঙ্গলবার (১৯ মে) দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়।
এ’কই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় নদীতে ঢেউ ও পানি বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ।শ্যামনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহিন বিল্লাহ জানান, দুপুর থেকে প্রচুর ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ’খন পর্যন্ত এই অঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়নি। ঝড়বৃষ্টি শুরু হওয়ায় মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে বেগ পেতে হবে।শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আ.ন.ম আবুজর গিফারী বলেন, উপকূলীয় এলাকায় ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঝড়ের আগে বৃষ্টি হবে- এটাই স্বাভাবিক।
আ’গেও আমাদের বৃষ্টির মধ্যে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আশা করছি, উপকূলীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সমস্যা হবে না। আমাদের টিম কাজ করছে।তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দুই হাজার মানুষকে আমরা নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছি।
দু’র্যোগ পরবর্তী সময়ের জন্য উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ডের দল প্রস্তুত। মেডিকেল টিমও আমরা প্রস্তুত রেখেছি।সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি প্রতি ঘণ্টায় ২২৫-২৪৫ কিলোমিটার গতিবেগে বাংলাদেশের উপকূলে ধেয়ে আসছে। আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়টি।
ত’খন গতিবেগ থাকবে প্রতি ঘণ্টায় ১৪০-১৬০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে উপকূলে ৫-১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে সাতক্ষীরা অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের সাতক্ষীরা উপকূলে প্রথমে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।