দে’শে প্রা’ণঘা’তী ক’রোনাভা’ইরাসে সং’ক্র’মণ যেভাবে বাড়ছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ব্যাপক প্রা’ণহা’নির পা’শাপাশি অর্থনীতিরও ক্ষ’তি হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বল’ছেন, ক’রোনা সং’ক্র’মণ রোধে দেশে সাধারণ ছুটি দিয়ে লাভ নেই, এখন প্রয়োজন দুই থেকে তিন সপ্তাহের ক’ঠোর লকডাউন বা কারফিউ।
বৃহস্পতিবার ভি’ডিও ক’নফারেন্সের মাধ্যমে ‘রিসার্জেন্ট বাংলাদেশ: রোডম্যাপ টু রিকভারি’ শিরোনামে এক সংলাপের আয়োজন করা হয়। সেখানে অংশ নিয়েছিলেন উ’ন্নয়ন গ’বেষক আহসান এইচ মনসুর,জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অর্থনীত সচল করার স্বার্থে সবকিছু খুলে দেয়ার কারণে দেশে আ’ক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়বে।
এতে স্বা’স্থ্য ব্য’বস্থার ও’পর তৈরি হবে বাড়তি চা’প। তাই তারা ম’হামা’রি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে আরো ক’ঠোর ল’কডাউন এবং অধিক সংক্রমিত এলাকায় কারফিউ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
এ নিয়ে শেখ মু’জিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপা’চার্য এবং ভা’ইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে ক’রোনা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি।
বাং’লাদেশের এ’কটা জেনারেল কন্ডিশন হলো, ভাই’রাসটা আগে আগে যাচ্ছে বাংলাদেশে পিছে পিছে।
প্রসঙ্গত, স্বা’স্থ্য অধি’দপ্তরের দেয়া তথ্যমতে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ রো’গীদের জন্য এখন পর্যন্ত ১১২টি হাসপাতালে বেড রয়েছে ১৩ হাজার ৯৮৪টি। আর সারাদেশের কোভিড রো’গীদের জন্য বরাদ্দ আছে সব মি’লিয়ে ৪০০টি আইসিইউ বেড, ৩০০টি ভেন্টিলেটর আর ১১২টি ডায়ালাইসিস ইউনিট।
তার ভাষায়, ‘এর ম’ধ্যেই ক’রোনা চিকিৎসা করতে গিয়ে বাংলাদেশ একটি নাজুক অবস্থায় পড়ে গিয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি ঢাকাতে একটি আইসিইউ বেড পা’ওয়ার জ’ন্য ক’রোনা রো’গীর আত্মীয় স্বজনেরা পাগলের মতো ছোটাছুটি করছে, কিন্তু পাচ্ছে না। তার মানে হচ্ছে যে, যখন এই সং’ক্র’মণ বেড়ে যাবে।
আমাদের এই না’জুক স্বা’স্থ্য এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাটি এই চ্যালেঞ্জটা বহন করতে পারবে কিনা এটি নিয়ে আমি প্রবলভাবে সন্দিহান।’বাংলাদেশের রো’গতত্ত্ব, রো’গ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর জানাচ্ছে, সবকিছু খুলে দেয়ার ফলে সং’ক্র’মণ বাড়বে।
তবে জু’নের মা’ঝামাঝি থেকে সং’ক্র’মণ কমতে শুরু করতে পারে।তবে আইইডিসিআর’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর মনে করেন, কা’রফিউ না দিয়েও পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায়। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে শিবচর।
ক’রোনা ম’হামা’রির শুরুর দিকে ওই জে’লায় ক’ঠোর লকডাউন দিয়ে সফলতা এসেছে।দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও প্রতি মিলিয়নে সবচেয়ে কম প’রীক্ষা করছে বাংলাদেশ।
তাই আ’ক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলেই আ’শঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সবধরনের গণপরিবহন চালু এবং অফিস আ’দালত, দোকানপাট খুলে দেয়ার কারণে সং’ক্র’মণ কতটা বৃ’দ্ধি পায় সেটি বোঝা যাবে আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যেই।