করিমগঞ্জ উপজেলার সুতারপাড়া একটি হাওর বেষ্টিত ইউনিয়ন। সাগুলি, সুতারপাড়া, উত্তর গণেশপুর, দক্ষিণ গণেশপুর, চংনোয়াগাও, খাকশ্রী ও বালিয়াপাড়া এই বিচ্ছিন্ন ৭ টি গ্রাম নিয়ে এ ইউনিয়ন। হাওরের প্রবেশদ্বার চামটা বন্দর, বালিখলা, হাওরের মিঠা পানির সুবিশাল জলমহাল ও মৎস্য আড়ত এ ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
গত ইউপি নির্বাচনে তুমুল প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রর্থীর খুব কাছাকাছি ছিলেন নিকটতম দুই প্রার্থী। নির্বাচনের পর সকলে হাত গুটিয়ে নিলেও মাঠ ছাড়েননি নুরুল ইসলাম।
গত নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়লেও হাল ছাড়েননি তিনি । জনসাধারণের পাশে থেকে সুখ দুঃখের অংশীদার হচ্ছেন। সুন্দর, সুখী ও সমৃদ্ধশালী সমাজ গঠনে অবদান রাখছেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত না হয়েও সকলের কাছে তিনি ‘চেয়ারম্যান’, ‘নুরইসলাম চেয়ারম্যান’।
‘জনতার চেয়ারম্যান’ নুরুল ইসলাম আগামী ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ে জেতার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি হিসাবে ইতোমধ্যে তিনি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে মানুষের সমস্যা ও সম্ভাবনার খুঁজ খবর নিচ্ছেন; সমাধানের চেষ্টা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রতিদিন তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। সকলের সঙ্গে থেকে সুখ দুঃখের অংশীদার হতে চাইছেন।
এলাকার উন্নয়নে সরকারের সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন ও নিজের হাত থেকেও প্রয়োজনে যথাসাধ্য সহযোগিতা করছেন।
ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক মোঃ নুরুল ইসলাম প্রতিনিয়ত তরুণ ভোটারদের মন জয় করে চলছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রিয়ভাজন মোঃ নুরুল ইসলাম জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রাপ্তির বিষয়ে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
সরকারের প্রতিনিধির সাথে বিশেষ সম্পর্কের জন্য উন্নয়ন কর্মকান্ডেও অবদান রাখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তার। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ক্ষেত্রের সাথে সুতারপাড়া ইউনিয়ন কে যুক্ত করতে তার জন্য সহজ হবে বলেও তিনি মনে করছেন।
তাই সকলের প্রিয়মুখ নুরুল ইসলাম আগামী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাধারণ মানুষের মন জয় করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
নিরহংকারী, বন্ধুবৎসল ও পুরোদস্তুর সমাজ সেবক নুরুল ইসলাম প্রতিনিয়ত মানুষের কল্যাণে সময় ও অর্থ ব্যায় করছেন।
সুতারপাড়া ইউনিয়নের কেন্দ্রবিন্দু চামটা বন্দরে সার্বক্ষনিক অবস্থান হওয়ায় যে কোন বিপদআপদে জনসাধারণের জন্য ঝাপিয়ে পরেন। মানুষের সমস্যা, সম্ভাবনা ও দুঃখ-দুর্দশায় সেবার মানসিকতায় পাশে থাকেন।
মসজিদ, মাদরাসা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে নিজের হাত প্রসারিত করছেন।
তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে মানুষ আমাকে আপন জেনে ভোট দিয়েছিল, আমি নির্বাচিত হইনি কিন্তু জনতার পাশে থেকেছি ও আগামীতেও থাকবো।’
তিনি আরও জানান, জনপ্রতিনিধি না হয়েও গণমানুষের প্রতিনিধি হওয়াটা আমার জন্য সৌভাগ্যের। আল্লাহ সহায় হলে ও জনতার সমর্থন পেলে সফল হবো ইনশাআল্লাহ।