দে’শে পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। ফলে দেশের বহু নারীই অবিবাহিত থেকে যান। এবার এই স’মস্যা স’মাধানে আদা-জল খেয়ে নেমেছে সৌদি স’রকার। বি’য়ে করার জন্য আ’মন্ত্রণ জা’নানো হচ্ছে ভিনদেশের ছেলেদেরকে।
বংলাদেশিরাও এই সু’যোগ পাবেন।ন্তর্জাতিক সং’বাদ মাধ্যমের দে’ওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবার সৌদি নারীদের বিদেশিরাও বিয়ে ক’রতে পারবেন। সুযোগ করে দিচ্ছে সৌদি স’রকার।এমনকি থাকছে রো’জগারেরও সুযোগ।
তবে এই সু’বিধা পেতে ‘স্পেশাল এক্সপ্যাক্ট’ সিস্টেমে অগ্রিম রেজিস্ট্রি করাতে হবে। এরপর পেনশন-সহ বেতনের সুবিধাও ভোগ ক’রতে পারবেন তারা। তবে সৌদি আরবের স’রকার বিদেশিদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে নতুন শর্ত বেঁ’ধে দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তাদের নতুন কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
ম’ধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সং’বাদমাধ্যম গালফ নিউজে’র খবরে বলা হয়, বিয়ের ক্ষেত্রে একজন সৌদি পুরুষ ও একজন বিদেশি স্ত্রীর মধ্যে অনুমোদিত বয়সের পার্থক্য হলো অ’র্ধেক। ত’বে সৌদি নারীদের মধ্যে যারা বিদেশিদের বিয়ে ক’রতে চায় তাদের জন্য বয়স সর্বো’চ্চ পাঁ’চ বছর কমানো হয়েছে।
এখন ২৫ ব’ছর ব’য়সী সৌদি নারীরাও বিদেশি পুরুষদের বিয়ে ক’রতে পারবেন। আগে এই সীমা ছিল ৩০ ব’ছর বয়স।এ ছাড়া ২০১৬ সালে বিদেশিদের স’ঙ্গে সৌ’দি নাগরিকদের বিয়ের ক্ষেত্রে করা ১৭টি পয়েন্ট তালিকায় সংশোধনী আনা হয়েছে।
সং’শোধনীতে বলা হয়েছে, দম্পতিদের বয়সের পার্থক্য ১৫ ব’ছরের বেশি হওয়া যাবে না। এর আগে ছিল ৩০ ব’ছর।সৌদি ডেইলি ওকাজে’র বরাত দিয়ে খবরে ব’লা হয়, সৌ’দি নারীদের মধ্যে যিনি বিদেশি স্বামী নিতে চান তার বয়স কখনোই ৫০ বছরের বেশি হওয়া যাবে না।
এর আ’গে সর্বো’চ্চ ৫৫ বছরের কথা উল্লেখ ছিল। সৌদি আরবের আ’ইন ম’ন্ত্রণালয়ের মতে, বিবাহিত সৌদি নারীদের শতকরা ১০ ভাগ তথা প্রায় ৭ লাখের মতো সৌদি নারী বিদেশিদের বিয়ে করেন। তবে ঠিক কতজন সৌ’দি পুরুষ বিদেশিদের বিয়ে করেন তার প্রকৃত তথ্য জা’না যায়নি।
সৌদি প’রিবারগুলোর ক’ল্যাণের জন্য চ্যারিটেবল সোসাইটির আওসিরের প্রধান তৌফিক আল সোয়ায়লেম বলেন, গত ২০ বছরে অ-সৌদি নারীদের স’ঙ্গে সৌদি পুরুষদের বিয়েও একটি সাধারণ ঘ’টনা হয়ে উঠেছে। যৌ’তুকের উচ্চ হার, বিয়ের খরচ, কম আ’য় এবং পা’রিবারিক জ্ঞানের অভাব প্রভৃতি কারণেই সৌদি পুরুষরা বিদেশিদের স্ত্রী রূপে গ্রহণ করছেন।
সৌ’দি পু’রুষ নাগরিকদের অসৌদিদের বিয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। সংশোধনীর নিয়ম অনুসারে, একজন সৌ’দি পুরুষের বয়স ৪০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হলে তিনি বিদেশি কোনো নারীকে বিয়ে ক’রতে পারবেন।
অন্যদিকে এ’কজন সৌদি নারী বিদেশি কোনো পুরুষকে বি’য়ে ক’রতে চাইলে তার বয়স হতে হবে ৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে।যদি পাত্রী যদি ডিভোর্সী হয় তাহলে বি’চ্ছেদের পর ক’মপক্ষে দুই বছর অপেক্ষা ক’রতে হবে। তার পর তিনি বিয়ে করার জন্য আবেদন ক’রতে পারবেন।
আবার কো’নো সৌ’দি পুরুষ নিজে যদি সৌদি কোনো নারীর স’ঙ্গে বিবাহব’ন্ধনে আব’দ্ধ থাকার পরও কোনো বিদেশিনিকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ ক’রতে চান তাহলে এর জন্য স’রকারি একটি সার্টিফিকেট দাখিল ক’রতে হবে।
তাকে এটা প্রমাণ ক’রতে হবে, বিয়ে সংক্রা’ন্ত সব দায়িত্ব পা’লনে প্রথম স্ত্রী অক্ষম। সার্টিফিকেটটা অবশ্যই স্বা’স্থ্য ম’ন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদিত হতে হবে।আবেদনকারীকে একটি ডকুমেন্টেও স্বাক্ষর ক’রতে হবে; যেটি দ্বারা এটা বোঝায় যে, বিবাহের অনুমোদনের অর্থ এই নয় যে তার বিদেশি স্ত্রীকে সৌদি নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
আ’বেদনকারীকে একটি ডকুমেন্টেও স্বাক্ষর ক’রতে হবে; যেটি দ্বারা এটা বোঝায় যে, বিবাহের অনু’মোদনের অর্থ এই নয় যে তার বিদেশি স্ত্রীকে সৌদি নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।কোনো বিদেশি পুরুষ যদি কোনো সৌদি নারীকে বিয়ে ক’রতে চান তাহলে তার নিজ দেশ এবং সৌদিতে তিনি অ’পরাধের স’ঙ্গে জ’ড়িত না এমন প্রমাণ দিতে হবে।
আবার তি’নি সং’ক্রামক বা জে’নেটিক রো’গে ভু’গছেন কি না তারও প্রমাণ দিতে হবে। তাকে অন্য কোনো দেশের সা’মরিক সদস্য হওয়া যাবে না। সৌদি আরবে প্রবেশে নি’ষেধাজ্ঞাদের তালিকায়ও থাকা যাবে না তা’কে।
এ ছাড়া বিদেশি স্বা’মীকে ক’মপক্ষে পাঁচ হাজার সৌদি রিয়াল আয় ক’রতে হবে এবং একটি বৈ’ধ বাসস্থানের অনুমতি থাকতে হবে।অ-সৌ’দি পু’রুষদের সকল তথ্য অনুসন্ধান করার জন্য একটি কমিটি গঠনের কথাও বলা হয়েছে নতুন সংশোধনীতে।
পরে আ’বেদনকারীর আ’বেদন গ্রহণের এক মা’সের মধ্যে তথ্য যাচাই বাছাই শেষে কমিটির সদস্যরা তাদের অভিমত জা’নাবেন।তবে বাং’লাদেশসহ চারটি দেশের নারীদের বিয়ে ক’রতে পা’রবে না সৌ’দি আরবের পুরুষরা। সৌদি স’রকার ২০১৪ সালেই এই নি’ষেধাজ্ঞা জা’রি করেছে। অন্য তিনটি দেশ হলো- পাকিস্তান, চাদ ও মিয়ানমা’র।