নড়াইলের লো’হাগড়া উ’পজেলার ইতনা গ্রামের অন্তঃসত্ত্বা ইতি খানম অবশেষে আশ্রয় খুঁজে পেয়েছেন।
সোমবার (০৮ জুন) দু’পুরে লো’হাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ হাসপাতাল থেকে ইতিকে স্বামীর বাড়িতে দিয়ে আসেন।
নড়াইল-২ আ’সনের সং’সদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সা’বেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নি’র্দেশনায় অবশেষে স্বামীর বাড়িতে ইতির জায়গা হলো।
ইতি খানম (২০) উ’পজেলার ই’তনা গ্রামের কাজি হারুন অর রশিদের মেয়ে এবং একই গ্রামের বাসিন্দা তিতাস কাজির স্ত্রী।লোহাগড়া থানা পু’লিশের ভা’রপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ইতি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তাকে একজন চৌকিদার (নারী) দেখভাল করবেন। আরেকজন চৌকিদার (পুরুষ) তার খোঁজখবর রাখবেন।
পু’লিশ তা’কে কিছু খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে।স্থানীয় চেয়ারম্যান আ’পাতত তার বাজার খরচ দেবেন। এমপি মাশ’রাফি বিন মর্তুজা ইতির খোঁজখবর রাখবেন এবং পাশে আছেন।
তার কো’নো খাদ্য’সহায়তা লাগলে এমপি দেবেন বলেছেন। এছাড়া যেকোনো বিপদে ইতির পাশে থাকার আ’শ্বাস দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ইতির সন্তান প্র’সবের সময়ের সব খরচ বহন করবেন এমপি মাশরাফি।
স্থা’নীয় সূ’ত্র জানায়, গত ১ জুন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ইতি খানমকে নি’র্যাতন ক’রে রাস্তায় ফেলে যান স্বামী তিতাস কাজি। অচেতন হয়ে রাস্তায় পড়েছিলেন ইতি।
প’রে জা’তীয় জ’রুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায় স্থানীয় লোকজন।খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ।
এ’রপর থে’কে স্বা’মী, শ্বশুরবাড়ি কিংবা বাবারবাড়ির কেউ খোঁ’জখবর নেয়’নি ইতির।এদিকে, ঘটনার দিন থেকে ফোন নম্বর বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন ইতির স্বামী তিতাস কাজি।
এ অ’বস্থায় ই’তি পুলিশকে জানান স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে রাজি নন; তিনি স্বামীর সংসার করতে চান। তার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার বিকেলে স্বামীর বাড়িতে ইতিকে দিয়ে আসে পুলিশ।