কুষ্টিয়া খোকসা উপজে’লার গোপগ্রাম এলাকায় স্ত্রী মীম খাতুন (২৩)কে শ্বা’সরো’ধে হ’ত্যার পর গ’লায় রশি পেঁ’চিয়ে ঘরে ঝু’লিয়ে রেখে তা আত্মহ’ত্যা বলে চা’লানোর চেষ্টার অভিযোগে স্বামী সুমন হোসেন (৩০) কে আ’টক করেছে পুলিশ।
রোববার (১১ মে) দুপুরে নি’হত গৃহবধুর স্বামী সুমন হোসেনকে আ’টক করে জি’জ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এই হ’ত্যার দায় স্বীকার করেছেন বলে নিশ্চিত করেন খোকসা থানা পুলিশ।
প’রে তাকে আ’দালতে সৌপর্দ করলে আ’দালত স্বামী সুমন হোসেনকে কা’রাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পাঁচ
বছর আগে পরিবারের অমতে সম্পর্ক করে মিম খাতুন কে বিয়ে করে সুমন। নিস’ন্তান এই দম্পতির মধ্যে প্রায়ই ঝ’গড়া বি’বাদ লেগেই থাকত।
শ’নিবার (০৯ মে) রাতে সুমনের মায়ের সাথে পুত্রবধু মীমের কথা কা’টাকাটি ও ঝ’গড়ার জের ধরে সুমন
স্ত্রী মীমকে বেদম মা’রধর করে বলে নিকটস্থ প্রতিবেশীদের ভাষ্য। স্থানীয়দের কাছে এমন অভিযোগ পেয়েই স্ত্রী হ’ত্যায় জ’ড়িত স’ন্দেহে সুমনকে আ’টক করে পুলিশ।
নি’হত মীমের পিতা নজরুল খানের দাবি, আমার মেয়েকে যৌ’তুক দাবিতে জামাই সুমন হোসেন ও তার মা প্রায়ই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও
শা’রীরিক নি’র্যাতন চালাত। ওরাই পরিকল্পিত ভাবে মীমকে হ’ত্যা করেছে, আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।খোকসা থানার অফিসার ই’নচার্জ (ওসি) জহুরুল আলম জানান, শনিবার সকালে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল উপজে’লার গোপগ্রাম এলাকার আলতাফ হেসেনের ছেলে সুমনের বাড়ি থেকে স্ত্রী মীমের ঝু’লন্ত লা’শ উ’দ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ম’র্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এ’ঘটনায় নি’হত মীমের ভাই শাকিল খান ওরফে পলা’শ বাদি হয়ে করা হ’ত্যা মা’মলার আসামী হিসেবে
হ’ত্যাকান্ডে জ’ড়িত স’ন্দেহে নি’হতের স্বামী সুমনকে আ’টক করা হয়েছে। সুমনকে গ্রে’প্তার করে আ’দালতে সৌপর্দ করলে আ’দালত তাকে জে’ল হাজতে প্রেরণ করে।