স্ত্রী’র সাথে স’হবাস করে বাইরে বী’র্য ফেলা কী জা’য়েয দেখুন ইসলাম কি বলে?
স্ত্রী’র সাথে স’হবাস করার পর স্ত্রী’রির গো’পনাঙ্গের বাইরে বী’র্য ফেলা কে আযল বলে।
তবে আযল করলে স্ত্রী’র অনুমতি নিতে হবে।কারণ স’হবাসের পর যদি স্বা’মী
তার স্ত্রী’ জ’রায়ুর ভিতরে বী’র্য পাত করে তাহলে তার স্ত্রী বেশি যৌ’ন তৃ’প্তি পাই।
আপনার স্ত্রী সুখের যেন ব্যা’ঘাত না হয়, তাই আযল করতে করতে চাইলে স্ত্রী’র অনুমতিতে নিতে হবে।অ’ন্যথায় গু’নাহ হবে।
যার উদ্দেশ্য হলো স্ত্রীকে গর্ভধারণ থেকে বি’রত রাখা। শারীরিক অসুস্থতা
অথবা দুই সন্তানের মাঝে প্রয়োজনীয় ব্যবধান রাখার ক্ষেত্রে অস্থায়ীভাবে আযল করা শরী‘আতে বৈধ।
জন্ম নি’য়ন্ত্রণের জন্য এটি একটি কৌ’শল মাত্র। তবে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আল্লাহ চাইলে এর পরেও গর্ভে স’ন্তান আসতে পারে।
জ’নৈক ব্যক্তি রাসূল সা.-এর নিকট এসে বলল, আমার দাসীর সাথে আমি মিলিত হ’লেও
তার গ’র্ভধারণ আমি পসন্দ করি না। তিনি বললেন, তুমি চাইলে আ’যল করতে পার,
তবে আল্লাহ তা‘আলা যা তা’ক্বদীরে লিখেছেন তা হবেই (মুসলিম হা/৩৬২৯; মিশকাত হা/৩১৮৫)।
সন্তা’নের ভরণ-পোষণের ভয়ে ‘আযল’ করা নিষি’দ্ধ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা দরিদ্রতার ভয়ে সন্তানদেরকে হ’ত্যা করো না। কেননা আমি যেমন তোমাদেরকে রূযী দেই, তেমনি তাদেরকেও রূযী দেব’ (আন‘আম ৬/১৫১)।
অতএব আযল পদ্ধতি অথবা বর্তমান যুগে আ’বিষ্কৃত জ’ন্মনিয়ন্ত্রণের যত পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলো শারীরিক অ’সুস্থতা অথবা দুই স’ন্তানের মাঝে প্রয়ো’জনীয় ব্যবধান রাখার উ’দ্দেশ্যে অ’স্থায়ীভাবে গ্রহণ করা জায়েয। স্থা’য়ীভাবে গ’র্ভনিরোধ নিষি’দ্ধ।
মনে রাখতে হবে যে, ইসলামে অধিক সন্তান লাভে উৎসাহিত করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, তোমরা প্রেমময়ী ও অধিক স’ন্তানদায়িনী নারীকে বিবাহ কর। কেননা আমি ক্বি’য়ামতের দিন অন্যান্য উম্মতের চাইতে তোমাদের সংখ্যা বৃদ্ধি’তে গর্ব করব’ (আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৩০৯১; আহমাদ)।
জ’ন্মনিয়ন্ত্রণ বা জন্মনিরোধে উক্ত উদ্দেশ্য যেমন ব্যাহত হয়, তেমনি নারীর স্বা’স্থ্যের ক্ষতি হয়। যে নারীর যত সন্তান বেশী, সে নারী তত সুখী ও স্বা’স্থ্যবর্তী। স’ন্তান জন্ম দেওয়াই নারীর প্রকৃতি। আর এই প্র’কৃতির উপর হস্তক্ষেপ করলে তার মন্দ প্র’তিক্রিয়া হওয়াটাই স্বা’ভাবিক।