ক’রোনা উপসর্গ নিয়ে প্রতিবন্ধী যুবক শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১টার মধ্যে মারা যান বলে পরিবারের লোকজনের ধারণা। আজ শনিবার ভোরে বাড়ির লোকজন তাঁর নিথর শরীর বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে। এই যুবকের বাবা গত বুধবার সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে করোনার উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে মারা যান।
প’রে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর বাবার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। এ কারণে বাসার সব সদস্য আইসোলেশনে চলে যান।চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মৃত্যু হওয়ার ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা একটি লাশ ঘরে বিছানাতেই ছিল। করোনা-উপসর্গ নিয়ে নাকি যুবকটি মারা যান। কেউ লাশ সরানো ও দাফনের ব্যবস্থা করার সাহস পাননি।
তি’নি আরও বলেন, ‘আমি দেরিতে খবর পেয়ে লাশ সরিয়ে দাফনের জন্য গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।’জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মৃত যুবক পরিবারের বড় সন্তান ছিলেন। মেজ ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। বাবা ও ভাইকে হারিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী এখন দিশেহারা। তাঁদের পাশে আমাদের সবার দাঁড়ানো উচিত।
’বা’বা ও ভাইয়ের মৃত্যুর পর পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী। মা ও বোনকে নিজের গ্রামের বাড়িতে রেখে আসতে গেলে বাধার সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গ্রা’মের বাড়িতে আত্মীয়স্বজন বাধা দিচ্ছেন। সেখানে থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি আসে।