কো’থাও ব’ন্ধ দোকানে তিনগুণ বিদ্যুৎ বিল, কোথাও মিটার না দেখেই বিলের কাগজে ইচ্ছামতো বসানো হয়েছে ইউনিট।
করো’না ভা’ইরাসের দু’র্যোগময় প’রিস্থিতিতে এভাবেই চলছে বগুড়ার বিদ্যুৎ বিভাগ।করো’না প’রিস্থিতির মধ্যে সবকিছু ব’ন্ধ থাকলেও গ্রাহকদের একটি অংশ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে।
ক’য়েক মাস ধ’রে বগুড়া জে’লা শহর ও উপজে’লাগুলোতে বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল আসায় (আগের কয়েক মাসের বিলের ধারাবাহিকতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি) মানুষ ক্ষু’ব্ধ।ভুতুড়ে বিলের প্র’তিবাদে কেউ কেউ বি’ক্ষো’ভ করছেন। কেউ কেউ আবার অফিসে অ’ভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু স’মস্যার সমাধান হচ্ছে না।
অস্বা’ভাবিক বি’দ্যুৎ বিল নিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষো’ভ ও অস্থিরতা ক্রমেই বাড়ছে। প’রিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে বিদ্যুৎ বিলে ঢুকেছে সিন্দাবাদের ভূত। দেশে চলমান অস্থিরতায় ‘অদ্ভুত’ বিদ্যুৎ বিলের ফাঁ’দে প’ড়ে হ’য়রানির শি’কার হচ্ছেন শত শত বিদ্যুৎ গ্রাহক।
এক ব্য’ক্তি নাম প্র’কাশ না ক’রার শর্তে বলেন, বিগত মাসগুলোতে আমা’র বিদ্যুৎ বিল ৭০০ থেকে এক হাজার টা’কার মধ্যে আসতো। কিন্তু গত এপ্রিল ও মে মাসে হ’ঠাৎ বিল আসে তিন হাজার ৮০০ টাকা করে।
আমি যে’সব বৈ’দ্যুতিক জিনিস আগে ব্যবহার করতাম এখনও সেসব জিনিসই ব্যবহার করছি। তাহলে হ’ঠাৎ কেন এক লাফে ৭০০ টাকার বিদ্যুৎ বিল ৩৮০০ টাকা আসবে?
এ’কজন উচ্চপদস্থ স’রকারি ক’র্মকর্তা একই ধ’রনের অ’ভিযোগ করে বলেন, আমা’র বাসার অতিরি’ক্ত বিল নিয়ে আমি কথা বলি নেসকো বগুড়া বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শিহাব উদ্দিনের স’ঙ্গে ।
তিনি এ বি’ষয়ে কোনো উত্তর না দিয়ে উল্টো আমা’র স’ঙ্গে খা’রাপ আচরণ করেন। তিনি এটাও বলেন, এই বিল দিতেই হবে।তবে নির্বাহী প্রকৌশলী শিহাব উদ্দিন এ অ’ভিযোগ অস্বী’কার করে বলেন, বিদ্যুৎ বিল নিয়ে আমা’র কাছে কেউ অ’ভিযোগ করেনি। অ’ভিযোগ পেলে ব্যব’স্থা নেয়া হবে।
আ’র মিটারের স’মস্যা দেখলেই আম’রা এস্টিমেটেড বিল করি।আরেক গ্রাহক বলেন, ২৩ মা’র্চে আমা’র মিটারের রিডিং ১০৪৮৯ এবং পূর্ববর্তী রিডিং ছিল ৯৮৪০, যার ব্যবহৃত ইউনিট লেখা হয়েছে ৭৭০। কিন্তু ওই বি’লের বর্তমান ও পূর্ববর্তী রিডিংয়ের প্রকৃত ফল হবে ৬৪০।
অর্থাৎ ১৩০ ই’উনিট বে’শি লেখা হয়েছে। একইভাবে পরবর্তী মাসেও গড়ে থেকে ২০০ ইউনিট করে বেশি বিল লেখা হয়েছে। এ ব্যাপারে অ’ভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, স’রকারি নির্দে’শনায় এনালগ মিটারগুলো ডিজিটাল করা হচ্ছে কয়েক বছর ধ’রে।
যারা মি’টার পরি’বর্তন করছেন না, তাদের এস্টিমেটেড বিল করা হচ্ছে। কিন্তু নির্দে’শনা মতো যাদের মিটার খা’রাপ হয়েছে; শুধু তারাই নতুন ডিজিটাল মিটার নিতে বা’ধ্য।বিদ্যুৎ বিভাগের একটি সূত্র জা’নায়, বর্তমানে আগের মাসগুলোর বিলের প’রিমাণের স’ঙ্গে গড় করে কিছু বাড়তি ইউনিট যোগ করে গ্রাহকদের কাছে বিল দেয়া হচ্ছে।
এটা ক’রা হ’চ্ছে গ্রাহকদের ও’পর মিটার পরিবর্তনের জন্য চা’প সৃষ্টি ক’রতে। এই বাড়তি বিলে নিয়ে গ্রাহকদের হ’য়রানির বেড়েই চলছে।বিদ্যুৎ বিভাগের স’ঙ্গে যোগাযোগ করেও এতে কোনো লাভ হচ্ছে না।
মি’টারের দা’মসহ একটি মিটার স্থাপনের জন্য নেয়া হচ্ছে দুই হাজার টাকা। অথচ বাজারে একটি ডিজিটাল মিটারের দাম এক হাজার ১২০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা। এক্ষেত্রে মিটার পরিবর্তনের জন্য গ্রাহকদের বা’ধ্য হয়ে অতিরি’ক্ত ৮০০ টাকা দিতে হয়। এই টাকার ভাগ আবার সংশ্লি’ষ্ট বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
খোঁ’জ নি’য়ে দেখা গেছে, মিটার রিডার ও দায়িত্বপ্রা’প্তদের বিদ্যুৎ বিল পৌঁছে দেয়ার কথা থাকলেও সেটি সংশ্লি’ষ্টরা ভাড়াটে বা ব্য’ক্তিগতভাবে নিয়োগ করা লোকদের মাধ্যমে মিটার রিডিং ও বিল বিতরণ করে।