৯৮ ব’ছর ব’য়সে স’ম্পূর্ণ কু’রআন মু’খস্ত ক’রলেন জা’ফর আ’ল ও’মাইরী
সৌদি আরবের ৯৮ বছরের বৃ’দ্ধা সামা’রা মুহাম্মাদ জাফর আল ওমাইরী আল শাহরী সম্পূর্ণ কুরআন হেফজ করতে সক্ষম হয়েছেন।
মানুষ তার বয়সের যে কোন স্তরে থাকুক না কেন, তার ইচ্ছার শেষ নেই। ঠিক এমনই একটি ব্যাপার সৌদি আরবের ৯৮ বছরের বৃ’দ্ধা সামা’রা মুহাম্মাদ জাফর আল ওমাইরী আল শাহরী জীবনেও ঘটেছে।
সামা’রা মুহাম্মাদ জাফর আল ওমাইরী আল শাহরী” ছেলে সায়াদ বিন সায়িদ এ ব্যাপারে বলেন: “আমার মায়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শংসাপত্র রয়েছে। তিনি ১৪০৯ সালে “হাফর আল বাতিন এবং খামিস মুশায়াত শহরে কুরআন হেফজ করতে শুরু করেন।
প্রা’ণঘা’তী ম’হামা’রি ক’রোনাভা’ইরাসেের বিস্তার রোধে সব নাগরিকের জন্য মাস্ক পরা বা’ধ্যতামূলক করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। মাস্ক না পরলে সেখানে তিন বছরের কা’রাদ’ণ্ড ভোগ করতে হবে এবং একই সঙ্গে জরিমানাও দিতে হবে। কাতার বিশ্বের প্রথম দেশ যারা মাস্ক না পরার জন্য এমন ক’ঠোর শা’স্তির বিধান করেছে।
আজ রবিবার থেকে জনসাধারণকে মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হলে ক’ঠোর শা’স্তি ও জরিমানা করতে শুরু করেছে। বিশ্বের সবচেয়ে ক’ঠোরতম মাস্ক না পরার শা’স্তি এটাই। কাতার প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কেউ আইন অমান্য করে মাস্ক না পরলে তাকে তিন বছরের কা’রাদ’ণ্ড ভোগ করতে হবে। একই সঙ্গে ৫৫ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হবে।
দেশজুড়ে ক’রোনার বিস্তার বাড়তে থাকায় এমন পদক্ষেপ নিয়েছে কাতার প্রশাসন। উপসাগরীয় দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি মানুষ প্রা’ণঘা’তী ক’রোনাভা’ইরাসেে আ’ক্রান্ত হয়েছে।
কাতারে বর্তমানে ২৭ লাখের বেশি মানুষ বসবাস করে। দেশটির ১ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ ক’রোনায় আ’ক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে।
সূত্র- ডেইলি সাবাহ।
আরো পড়ুন-ভারতে প্রথম প্রেমিকের সঙ্গে মায়ের বিয়ে দিলো মেয়েরা
নিজের পছন্দের ছেলেটিকে মেনে নেয়নি পরিবার, তাই বাবার পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে হয়েছে অনিতাকে। এরপর কে’টে গেছে অনেক বছর। সংসারে জন্ম নিয়েছে দুই কন্যা স’ন্তান। তবে স’ন্তান জন্মের পরপরই মা’রা যান স্বামী। এরপর দুই মেয়ে নিয়ে শুরু করে জীবন যু’দ্ধ। সেই যু’দ্ধে তিনি ছিলেন একা।
ধীরে ধীরে মেয়েরা বড় হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বার্ধক্যও আসে আনিতার শরীরে। এক দিন গল্পে গল্পে সেই ছেলেটির কথা জানতে পারে আনিতার মেয়েরা। মেয়েরা জানতে পারে সেই ছেলেটি ছিলো তাদের মায়ের প্রথম প্রেমিক। এরপর এই মেয়েরাই প্রথম প্রেমিকের সঙ্গে মায়ের বিয়ে দিয়ে দেয়।
ভারতের কেরালার কোল্লামের ওয়াচিরা গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা’র এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
খবরে বলা হয়, ১৯৮৪ সালের দিকে অনিতা যখন দশম শ্রেণির ছাত্রী তখন কেরালার কোল্লামের ওয়াচিরা গ্রামে কোচিং সেন্টারে পড়াতেন বিক্রমণ। রাজনৈতিক কার্যকলাপেও যুক্ত ছিলেন তিনি। তার কোচিং সেন্টারে টিউশন পড়তে যেত অনিতা। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানেও দেখা হতো তাদের।
এই ভাবেই এক দিন তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কয়েক বছর পরে বাড়িতে বিক্রমণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের কথা জানান অনিতা। কিন্তু সে’নাবা’হিনীর অ্যাসিট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অনিতার বাবা সেই সম্পর্ক মেনে নেননি। পরে সেই গ্রামেরই অন্য এক যুবকের সঙ্গে অনিতার বিয়ে দেন তিনি।
অন্য পাত্রের সঙ্গে অনিতার বিয়ের খবর পেতেই মন ভে’ঙে যায় বিক্রমণের। ওয়াচিরা গ্রাম পুরোপুরি ভাবে ত্যাগ করে চলে যান কোট্টয়মের চিভারাতে। সেখানে গিয়ে আবার শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি।
এদিকে অনিতার দুই কন্যা স’ন্তানও হয়। বড় মেয়ে অথিরা ও ছোট মেয়ে অ্যাশলিকে নিয়ে ছিল অনিতার জীবন। তার স্বামী ছিল সুরাসক্ত। অথিরার বয়স যখন আট, তখন আত্মহ’ত্যা করেন অনিতার স্বামী।
জমি জায়গা বিক্রি করে, নিজে বিভিন্ন রকম কাজ করে রোজগার করে বড় করেন দুই মেয়েকে। এ ভাবেই কে’টে যাচ্ছিল অনিতার জীবন।
এরপর ২০১৬ সালে শিক্ষকতার জীবন থেকে অবসর নিয়ে বিক্রমণও ফিরে আসে আবার ওয়াচিরাতে। সে বছরই এক দিন বিক্রমণের সঙ্গে দেখা হয় অনিতার।
এক দিন সেই জড়তা কাটিয়ে নিজের প্রেম হা’রানোর গল্প মেয়েদের বলেন অনিতা। তারপর থেকেই মাকে তার পুরনো প্রেমিকের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়ার কথা ভাবতে থাকে অথিরা ও অ্যাশলি। দুই বোন মিলে ঠিক করেন ফে’লে বিক্রমণের সঙ্গে বিয়ে দেবে মায়ের।
এক দিন তারা দেখা করে বিক্রমণের সঙ্গে। জানায় তাদের ইচ্ছার কথা। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। কিন্তু অনিতার দুই মেয়ে হাল ছাড়েননি। বার বার দেখা করে বিক্রমণের সঙ্গে। বিক্রমণকে বোঝাতে থাকে। তার পর বিয়ের জন্য রাজি করায় তাকে। পাশাপাশি মাকেও বিয়ে করার জন্য মা’নসিকভাবে প্রস্তুত করে দুই মেয়ে।
২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিক্রমণের সঙ্গে বিয়ে হয় অনিতার। ৫২ বছর বয়সে নিজের হা’রানো প্রেম ফিরে পান অনিতা। তবে এই বিয়ে দিতে গিয়ে অনেক বাঁ’ধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল অথিরা ও অ্যাশলিকে। তাদের অনেক নিকট আত্মীয়ই প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিল এই বিয়েতে।
তবে পুরোনো প্রেমিকাকে কাছে পাওয়ার চার বছর পর গত মাসে হার্ট অ্যাটাকে মা’রা যান বিক্রমণ। সে সময় তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।