আয়াতের অর্থ হলোঃ “যখন স্বা’মী -আ’নন্দ ঢেকে ফেললো তখন স্ত্রীর ক্ষীণ গ’র্ভ সঞ্চার হয়ে গেলো।”আর স্ত্রী যখন নিচে থাকবে এবং স্বা’মী তার উপর উপুড় হয়ে থাকবে তখনই স্বা’মীর শ’রীর দ্বারা স্ত্রীর শ’রীর ঢাকা পড়বে। তাছাড়া এ পন্থাই সর্বাধিক আরাম’দায়ক। এতে স্ত্রীরও ক’ষ্ট সহ্য করতে হয় না এবং গ’র্ভধারণের জন্যেও তা উপকারী ও সহায়ক।
বিখ্যাত চিকিতসা বিজ্ঞানী বু-আলী ইবনে সীনা তার অমর গ্রন্থ “কানুন” নামক বইয়ে এই পন্থাকেই সর্বোত্তম পন্থা হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং ‘স্বা’মী নিচে আর স্ত্রী উপরে’ থাকার পন্থাকে নিকৃষ্ট পন্থা বলেছেন।
কেননা এতে পুংলিংগে বী’র্য আ’টকে থেকে দুর্গন্ধ যুক্ত হয়ে ক’ষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যেন ঘন মুহুর্তটা পরবর্তিতে বেদনার কারণ হয়ে না দাড়ায়।
স্বা’মী-স্ত্রী স’হবা’সে উভ’য়ের বী’র্য বাহির হওয়ার পর কিছু সময় নড়াচড়া না করে মিলিত অবস্থায় থাকতে হবে। অর্থাৎ স্ত্রী নীচে এবং স্বা’মী উপরে থাকবে। তাতে বী’র্য জরায়ুতে ঠিক মত প্রবেশ করতে সুবিধা হয়। তা না হলে বী’র্য বাহিরে পড়ে যেতে পারে। আর বী’র্য বাহিরে পড়লে গ’র্ভ সঞ্চার হয় না। স’হবা’সের পর হালকা গরম পানি দিয়ে স্বা’মী স্ত্রীর দুই জনের যৌ’নাঙ্গ ধুয়ে ফেলতে হয়। ঠাণ্ডা পানিতে ধোয়া উচিৎ নয়। তারপর স্বা’মী স্ত্রী দুইজনে কিছু মধু সেবন করে নিবেন। তারপর দুই জনে ফরজ গোসল করে ফযরের নামাজ আদায় করে নিবেন।
সকল নেয়ামতের মধ্যে সবচাইতে তীব্র ের নেয়ামত স্বা’মী-স্ত্রীর স’হবা’স। স্বা’মী-স্ত্রীর স’হবা’সের মাধ্যমে মানুষ পৃথিবীতেই জান্নাতের সুখের কিঞ্চিত নিদর্শন পেয়ে থাকে। আল্লাহ স’হবা’সের আহবায়ক করেছেন পু’রুষ মানুষকে। সাধারণত স্ত্রী লাজুক স্বভাবের হয়ে থাকে এবং সহজাতভাবে স’হবা’সের জন্য তাড়িত হয় না।
কেবলমাত্র যখন তার স্বা’মী তাকে বুকে টেনে নেয় ও নানাবিধ উপায়ে আদর-সোহাগ করতে থাকে, তখনই স্ত্রীর দেহ-মনে স’হবা’সের কামনা জেগে উঠে। স্বা’মীর পু’রুষাঙ্গ স্বাভাবিক অবস্থায় নরম থাকে ও স’হবা’সকালীন যো’নিগহবরে প্রবেশের উপযুক্ততা অর্জনের জন্য শক্ত হয়। এ সময় তা নরম অবস্থার চাইতে কারও ক্ষেত্রে ছোট হয়, কারও ক্ষেত্রে অপরিবর্তিত থাকে, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে কিঞ্চিত বর্ধিত হয়।
সূরা আল-আলাক্বে বর্ণনা অনুযায়ী আল্লাহ মানুষকে একফোঁটা বী’র্য থেকে সৃষ্টি করেন। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে এক থেকে তিন মিলিলিটার পরিমাণ বী’র্যপাত হয়, যা ঘনীভূত হয়ে থাকে বলে এক ফোঁটার ন্যায় দেখায়, যা ক্বোর’আনের বর্ণনার সাথে একেবারে মিলে যায় এবং ক্বোর’আনের সত্যতা প্রমাণ করে। তবে অনেক স্বা’মীর বী’র্যের পরিমাণ বেশি এবং এমনকি দশ-বারো ফোঁটা পর্যন্ত বী’র্যও স’হবা’সে নির্গত হতে পারে।
তবে স’ন্তান জন্ম’দানে ব্যয় হবে এক ফোঁটাই, বাকি অংশ স্ত্রীর গ’র্ভে শুকিয়ে যাবে।
স’হবা’সকে সার্থক ও দায়ক করে তুলতে স্বা’মী-স্ত্রী উভ’য়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।
স্ত্রী যদি অকার্যকর হয়ে কেবল পড়ে থাকে, স্বা’মীর সাথে সাথে নিজের মত করে অগ্রসর না হয়, তাহলে সেই স’হবা’সে স্ত্রীও পায় না, স্বা’মীও স্ত্রীর প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ে, এমনকি পরনা’রীর প্রতি আকর্ষণ পর্যন্ত এভাবেই জন্মায়। তাই স’হবা’সকালীন স্ত্রীর করণীয় স’ম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকা সকল না’রীরই কর্তব্য।
স’হবা’স অন্তে স্বা’মী অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ে এমনকি কথা বার্তাও বলা থেকে বিরত থাকতে পারে। এই সময় স্বা’মীকে মিষ্টি দুগ্ধজাতীয় কোন খাদ্য দিলে স্ত্রীর প্রতি তার মহব্বত অত্যন্ত বৃ’দ্ধি পায়। স’হবা’সের পূর্বেই এই খাবারের ব্যবস্থা রাখবে। স্বা’মীর গায়ে হাত বুলিয়ে দিবে। স্বা’মীর শ’রীরের বিভিন্ন স্থানে চুম্বন করবে।
প্রথম কয়েকদিনেই জেনে নিবে কোন স্থানে চুম্বন ও স্পর্শ স্বা’মীর পছন্দনীয়। ওই সমস্ত স্থানে অধিক মনোযোগ দিবে কিন্তু অবশিষ্ট শ’রীরেও সোহাগ করবে। তবে না’রীসুলভ কোমলতায়। স্বা’মী উ’গ্রভাবে আদর করলেও স্ত্রীর উচিত হবে স্পর্শে কোমলতা বজায় রাখা।
তবে চুম্বনে স্বা’মীর সাথে সমভাবে অংশগ্রহণ করবে এমনকি চুম্বনের প্রতিযোগিতা করবে। স্বা’মীকে আদরের সময় মৃদুভাবে অণ্ডথলিতে স্পর্শ করে রাখলে স্বা’মী স্ত্রীর ভক্ত হয়ে যায়। তবে সাবধান থাকবে, কেননা অণ্ডোথলি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ও অতি মৃদু আ’ঘাতেও মা’রাত্মক য’ন্ত্রণা হতে পারে।
স্বা’মীর স্ত্রীর যো’নিগহবরে প্রবেশের মাধ্যমে। কিন্তু স্বা’মী অনেক সময় জানে না যে স্ত্রীর স’হবা’সের পূর্বে আদর সোহাগে। তাই এই বি’ষয়ে অসন্তুষ্টি থাকলে স্বা’মীকে খুলে বলতে হবে এবং নিজের চাহিদা স্বা’মীর গোচরে আনতে হবে। ২৫ বছরের কম বয়সী পু’রুষ সাধারনত বেশি সময় নিয়ে মি’লন করতে পারে না। তবে তারা খুব অল্প সময় ব্যাবধানে পুনরায় উ’ত্তেজিত/উত্তপ্ত হতে পারে। ২৫ এর পর বয়স যত বাড়বে মি’লনে পু’রুষ তত বেশি সময় নেয়।
কিন্তু বয়স বৃ’দ্ধির সাথে সাথে পুনরায় জাগ্রত (ইরিকশান) হওয়ার ব্যাবধানও বাড়তে থাকে। এক না’রী কিংবা একপু’রুষের সাথে বার বার মি’লন করলে যৌ’ন মি’লনে বেশি সময় দেয়া যায় এবং মি’লনে বেশি তৃ’প্তি পাওয়া যায়। কারন স্বরুপ: নি’য়মিত মি’লনে একে অপরের শ’রীর এবং ভাললাগা/ মন্দলাগা, পছন্দসই আসনভঙ্গি, সুখ দেয়া নেয়ার পদ্ধতি ইত্যাদি স’ম্পর্কে ভালভাবে অবহিত থাকে।
যারা বলেন “এক তরকারী দিয়ে প্রতিদিন খেতে ভাল লাগে না – তাই পর না’রী ভোগের লালসা” – তাদেরকে অনুরোধ করছিঃ দয়াকরে মিথ্যাচার করবেন না। এমন যুক্তি ভিত্তিহীন। পরকীয়া আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে ধ্বং’স করছে।
মাত্র কয়েক মিনিটের কাম যাতনা নিবারনের জন্য আজীবনের স’ম্পর্কে অবিশ্বাসের কালো দাগ লাগাবেন কেন? আজকালকের দিনে এমনকি আমাদের দেশের ১০-১২ বছরের ছেলে-মেয়েরা পর্যন্ত জেনে যাচ্ছে কিভাবে সে’ক্স করতে হয়।
তাই বলা যায় বিয়ে তো বহুদূরের কথা, এখনকার ছেলেমেয়েদের গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড হওয়ার আগেই তারা এ বি’ষয়ে বহু কিছু জানে। ঠোট না’রীদেহের সবচাইতে যৌ’নত্তেজক অঙ্গগুলোর মধ্যে একটি। ঠোটের মাধ্যমেই সমগ্র না’রীদেহ উ’ত্তেজনার সূচনার সবচেয়ে জো’রালো সংকেতটি গ্রহন করে থাকে।
মেয়েটি তার স’ঙ্গীর গালে, গ’লায়, বুকে, কান এদের স্পর্শ করলে ছেলেটি যেমন পায়, তেমনি মেয়েটিও অন্যরকম এক লাভ করে। অনেক পর্ন মুভিতে দেখা যায় যে সেখানে মেয়েগুলো ছেলেদের লিঙ্গ চুষতে খুব পছন্দ করে। বিদেশে বাস্তবেও অনেক মেয়েই ছেলেদের লিঙ্গ শুধু তাকে দেওয়ার জন্যই চুষে না। সে নিজেও এতে পায়। এর মূল কারনই হল তার ঠোট ও জিহবার স্পর্শকাতরতা। ছেলেটির দেহের অন্যান্য অংশে এ দুটি দিয়ে স্পর্শ করে সে যে লাভ করে, একই কারনে নিজের ছেলেটির লিঙ্গের স্পর্শে তার হয়। মেয়েদের যৌ’ন চাহিদা ছেলেদের ৪ ভাগের এক ভাগ।
কি’শোরী এবং টিনেজার মেয়েদের যৌ’ন ইচ্ছা সবচেয়ে বেশী। ‘ইসলামে না’রীদের যৌ’ন চাহিদার কোন মূল্য নেই’, ‘ইসলামে পু’রুষকে স্ত্রীর ও’পর যথেচ্ছ যৌ’নাচারের ফ্রি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে’, ‘ইসলামে যৌ’ন অধিকার একতরফাভাবে পু’রুষকে দেওয়া হয়েছে’ এই জাতীয় অভিযোগ সুস্থবুদ্ধিসম্পন্ন কেউ আশা করি করবেন না।