সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্কঃ মঙ্গলবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নয়, বরং পাকিস্তানের চর হিসেবে এবং অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
জিয়াউর রহমানকে ‘স্বাধীনতার পাঠক’ আখ্যা দিয়ে হানিফ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন না। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণার পাঠক মাত্র। এটা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।’
হানিফ বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন সত্যি। তবে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নয়, বরং পাকিস্তানের চর হিসেবে এবং অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তা তিনি পরবর্তী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণ করে গেছেন। তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে কারাবন্দী যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দায়মুক্তি দিয়ে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। খুনিদের বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূতসহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করেন। প্রকৃতপক্ষে এই দেশকে পুনরায় পাকিস্তানের প্রদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেই কাজ করেছিলেন তিনি।
বিএনপির সমালোচনা করে হানিফ বলেন, ‘আজকে গণতন্ত্র হরণের কথা বলা হচ্ছে। কিসের গণতন্ত্র? জীবন্ত মানুষকে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে মারার নাম কি গণতন্ত্র? আগুন সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করা যাবে না, সেটার নাম গণতন্ত্র? এতিমের টাকা লুটেপুটে খেলে বিচার করা যাবে না, তার নামই কি গণতন্ত্র? খালেদা জিয়ার পুত্র দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাবে, কিন্তু কিছু বলা যাবে না, সেটাই কি গণতন্ত্র?’
বিএনপি-জামায়াতকে পাকিস্তানের ‘প্রেতাত্মা’ আখ্যায়িত করে হানিফ বলেন, ‘স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামায়াতকে নির্মূল করেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।