স্টাফ রিপোর্টার : কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের মাওলানা মোহাম্মদ আমির উদ্দিনের নকল সিল ও জাল স্বাক্ষরে তালাক ও কাবিননামা প্রদান করায় প্রতারণা মামলায় ভুয়া কাজী ( মোঃ কেরামত আলী) কে কারাগারে প্রেরণ করেছে ১ নং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি মোঃ কেরামত আলী বিগত বহুদিন যাবত সাধারণ জনগণকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অংকে নকল তালাক ও কাবিননামা প্রদান করিয়া আসিতেছে।
চৌদ্দশত ইউনিয়নের কাজী মাওলানা মোহাম্মদ আমির উদ্দিন কর্মরত থাকা অবস্থায় তাহার সহকারি হিসেবে কাজ করার সুবাদে সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণা করার সুযোগ পায়। তার এই প্রতারণা প্রকাশ হওয়ায় ২০০৩ সালেই অফিস থেকে বের করে দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে, কিন্তু চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী। জেল থেকে বেরিয়ে আবারও একই কায়দা অবলম্বন করে ভুয়া কাজী মোঃ কেরামত আলী।
তবে সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে কাজী মাওলানা মোহাম্মদ আমির উদ্দিন অবসরে যাওয়ার পরেও এলাকার বিভিন্নজনকে তালাক ও কাবিননামা প্রদান করেই চলছে। তাতে জেল জরিমানা ও অপমানিত হয়েছেন অনেকেই ভুয়া তালাক ও কাবিননামা পদর্শন করার কারণে।
মামলার বিবরণে আরো জানা যায়, কাজী মাওলানা মো: আমির উদ্দিন অবসরে যাওয়ার পর ২০০৬ সালে তার একমাত্র ছেলে মোঃ মিনহাজ উদ্দিন চৌদ্দশত ইউনিয়নের বিবাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। আর এদিগে প্রতারক মোঃ কেরামত আলী মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাল্যবিবাহ সহ অনেক ভুয়া তালাক ও কাবিননামা সম্পাদন করে যাচ্ছে।
তার এই প্রতারণার জন্য কাজী মোঃ মিনহাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ৭/৯/১৮ ইং তারিখে সহকারি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে, পাকুন্দিয়া উপজেলার ঢকদিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র মোঃ কেরামত আলী (৬০) কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি পর্যালোচনা করে,৬/১২/১৮ ইং তারিখে সিআইডি পুলিশ কর্তৃক তদন্ত গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
সিআইডি পুলিশ গোপনে সরেজমিনে হাজির হইয়া উক্ত ঘটনার সম্পূর্ণ সত্যতা প্রমাণ পাওয়ায় ৩০/৭/১৯ ইং তারিখে প্রতিবেদন বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) মামলায় হাজিরা দিতে আসলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নুরুল আফছার, আসামি মোঃ কেরামত আলীকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
এদিকে প্রতারক কেরামত আলী জেলহাজতের সংবাদটি তার নিজ গ্রামে প্রকাশ হওয়ায় পুলেরঘাট ও চৌদ্দশত এলাকার ভুক্তভোগী ও সাধারণ জনগণের মনে স্বস্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
স্থানীয় প্রতিনিধিসহ সাধারণ জনগণ আইনের মাধ্যমে তার সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করেন।