1. ashrafali.sohankg@gmail.com : aasohan : Ashraf Ali Sohan
  2. kgnewssumon@gmail.com : arsumon :
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৫:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:-
জাতীয় স্লোগান হিসেবে ‘জয় বাংলা’ ব্যবহারের নির্দেশঃ হাইকোর্ট কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন কিশোরগঞ্জে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উস্তাদ সুমন আহম্মেদ রঞ্জনের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল ২০ ফেব্রুয়ারি ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে ঢাকা পোস্ট বইমেলায় শেখ সুমাইয়া সুলতানার বই ” কিছু বলতে চাই কিশোরগঞ্জে পালিত হলো জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এর দায়িত্ব গ্রহন করলেন ডাঃ হেলাল বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে না- শায়েখে চরমোনাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে অবৈধ ইটভাটা; ১ লক্ষ টাকা জরিমানা

চিলমারীর মানুষের জীবনযাত্রা পাল্টে যাচ্ছে

রিপোর্টার:
  • সর্বশেষ আপডেট : রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৯
  • ১৮০ সংবাদটি দেখা হয়েছে

এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: সরকারের সহযোগিতায় ঘুরে দাঁড়ানোর সাথে সাথে দিন দিন পাল্টে যাচ্ছে চিলমারী। লাগছে উন্নয়নের ছোঁয়া পাল্টে যাচ্ছে দৃশ্যপট। চারদিকে বইতে শুরু করেছে উন্নয়নের হাওয়া। সেই সঙ্গে টিআর কাবিখা এডিপি প্রকল্পে নতুন নতুন অবকাঠামো, সড়ক, কালভার্ট ও সোলার প্লান্টে পাল্টাছে মানুষের জীবনযাত্রা। দিন দিন বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জনপদের চিত্র। বরাদ্দকৃত এই অর্থ বাসস্থান নির্মাণ, সোলার প্যানেল স্থাপন এবং স্থাপনা ও রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন-সংস্কার কাজে ব্যয় করা হচ্ছে।

জানা যায়, পিছিয়ে পড়া চিলমারী যদিও এক সময় হাকাও গাড়ি তুই চিলমারীর বন্দরে বেশ পরিচিতি লাভ করেছিল। সেই চিলমারী নদী ভাঙ্গনে এখন বিলীনের পথে। এছাড়াও রয়েছে প্রতি বছরে বন্যার হানা। প্রতি বছর এই বন্যা আর ভাঙ্গণ ভেসে ও ভেঙ্গে নেয় সড়ক, রাস্তা ঘাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা। শুধু তাই নয় ভেসে নেয় আর আটকে দেয় উন্নয়ন। আবারো থমকে দাঁড়ায় কিন্তু এরপরও থেমে থাকে না সরকার। বারবার এগিয়ে আসেন সরকার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আর পিছিয়ে পড়া চিলমারী ঘুড়ে দাঁড়ানোর জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রাখায় ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে চিলমারী দেখা দিয়েছে উন্নয়নের ছোঁয়া। প্রতি বছরের ন্যায় এবারেও এডিপি, টিআর, কাবিখা, জামি আছে ঘর নাই, আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে চিলমারীকে এগিয়ে নিচ্ছেন বর্তমান সরকার। উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা আর পিছিয়ে পড়া চিলমারীও এগিয়ে যাচ্ছে।

এডিপি প্রকল্পের ১ কোটি ৯ লক্ষ ছাড়াও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮/১৯ অর্থ বছরে সোলারসহ ২৪৯ টি প্রকল্পের বিপরীতে ১ কোটি ৫৫ লক্ষ ৭১ হাজা ৩৬৬ টাকা টি আর ও ৩৫ টি সোলার প্রকল্পের বিপরীতে ১ কোটি ১১ লক্ষ ৯৭ হাজার ৪৫০ টাকা এবং ২৯টি প্রকল্পের বিপরীতে প্রায় ৩৯৮ মেঃ টন চাল ও গম কাবিখা’র বরাদ্দ দেয়া হয়। এই প্রকল্পের অধিনে সোলারের আলোয় এখন আলোকিত চরাঞ্চল। সোলার প্রকল্পে এখন পাল্টেও যাচ্ছে চলাঞ্চলের জীবনযাত্র। এছাড়াও স্থাপনা ও রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন-সংস্কারেও উন্নয়নে উন্নত হচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। এছাড়াও জমি আছে ঘর নাই ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে গৃহহীনরা গৃহ, আশ্রয়হীনরা আশ্রয় পেয়ে দেখছে তারা সুখের ঠিকানা।

সবুজ পাড়ার গীতা রানী, নয়ারহাটের নাজমাসহ বেশ কিছু গৃহহীনদের সাথে কথা হলে তারা জানান আমরা গৃহহীন ছিলাম সরকার আমাদের ঘর করে দেয়ায় এখন আমরা অনেক সুখে আছি। চিলমারীর আমিনুল, আছিয়াসহ অনেকে জানান, প্রতি বছর তো রাস্তার কাজ হয়, ভাঙ্গা রাস্তা ভালো হয় বেশ উন্নয়নের কাজও হয় কিন্তু প্রতি বছর বন্যা আসে আর সব কিছুই ধুয়ে নেয় আবার পিছিয়ে যায় এই হলো হামার অবস্থা।

গোলাম হাবিব মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ জাকির হোসেন বলেন কাবিখা প্রকল্পে আমার কলেজের মাটি কাটা হয়েছে আমরা এর সুফল পাচ্ছি। থানাহাট কেন্দ্রীয় ঈদগা মাঠের সভাপতি আলহাজ্ব নুর-ই-ইলাহী বাদশা বলেন কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে ঈদ গা মাঠের সংস্কার ও পাকা করায় এলাকাবাসীদের এবার ঈদের নামাজে কষ্ট করতে হয় নাই। এছাড়াও এডিপি প্রকল্পের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে লাগছে এখন চিলমারীর গায়ে উন্নয়নের হাওয়া।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা বলেন এবারের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। গোটা উপজেলা তলিয়ে গিয়েছিল। রাস্তাঘাট সব পানিতে ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানকার মাটির টপ লেভেল বালিময় হওয়াতে রাস্তার মাটি এমনিতেই সড়ে যায়, তাতে এবারের বন্যায় রাস্তার মাটির কাজ একেবারেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো পুনরায় সংস্কারের কাজ চলছে। এছাড়াও এডিপির বরাদ্দ হতে ক্ষতিগ্রস্ত পাকা রাস্তাগুলো মেরামতের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। প্রলয়ঙ্কারী বন্যার হাত থেকে চিলমারীকে পুর্নগঠনের জন্য সরকার যথেষ্ট আন্তরিক। সরকারি কাজ বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আশাকরি চিলমারী আবার ঘুরে দাঁড়াবে। শুধু তাই নয় চলমান চিলমারী নদী বন্দর ও চিলমারী হরিপুর তিস্তা ব্রীজের কাজ হলেই আবারো ঐতিহ্য ফিরে পাবে চিলমারী সুফল পাবে এলাকাবাসী এবং কর্মসংস্থান হবে হাজারো মানুষের।

Facebook Comments Box

খবরটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও খবর