নিজস্ব প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জে প্রতিবেশীর স্বাক্ষর জাল করে ভবন নিমার্ণের প্ল্যান পাশ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে বৃহস্প্রতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বরাবরে প্রতিবেশী হাফিজুর রহমান সুমন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম তারাপাশা এলাকায়। কিশোরগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র শফিকুল ইসলাম বিল্লাল অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম তারাপাশা নিবাসী রাজীব চন্দ্র দাস নামীয় বহুতল ভবন নিমার্ণের জন্য কিশোরগঞ্জ পৌরসভার বরাবরে আবেদন করেন। এতে প্রতিবেশী হিসেবে হাফিজুর রহমান সুমনের প্রত্যয়নপত্রে তাঁর অনুমতি বা স্বাক্ষর না নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বহুতল ভবনের প্ল্যান পাশ করে নেন। বিষয়টি হাফিজুর রহমান সুমন জানতে পেরে পৌরসভার মেয়র বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সুমন অভিযোগ করে বলেন, রাজীব চন্দ্র দাস গংরা সীমানা নিধার্রন না করেই আমার বাড়ীর সীমানা ঘেষে পিলার নিমার্ণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ পৌর আইন অনুযায়ী সীমানা থেকে ৩ ফুট দুরত্বে ভবন নিমার্ন করার বিধান রয়েছে। তারা পৌর আইনকে তোয়াক্কা না করে সীমানা ঘেষে ভবন নিমার্ন করছে। এ বিষয়ে পৌরসভায় কয়েক দফায় বিগত দিনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে কিছুদিন নিমার্ণ কাজ বন্ধ থাকে। পরে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত ইটালীতে অবস্থান করা রাজীব চন্দ্র দাসের নামে তার মা ও বোন গোপনে ভবন নিমার্ণের প্ল্যান পাশ করে।
কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যদি পৌরসভার কোন নাগরিক অন্যজনের স্বাক্ষর জাল করে প্ল্যান অনুমোদন করিয়ে নেয় তবে তা জালিয়াতি মামলার শামিল। বিষয়টি আমার জানা নেই, এমন হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো ।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে আমি ঢাকায় অবস্থান করছি। এসে বিষয়টি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
এ বিষয়ে রাজীব চন্দ্র দাসের স্বজনদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।