1. ashrafali.sohankg@gmail.com : aasohan : Ashraf Ali Sohan
  2. kgnewssumon@gmail.com : arsumon :
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৬:১২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:-
জাতীয় স্লোগান হিসেবে ‘জয় বাংলা’ ব্যবহারের নির্দেশঃ হাইকোর্ট কিশোরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন কিশোরগঞ্জে সর্বাধিক প্রচারিত বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উস্তাদ সুমন আহম্মেদ রঞ্জনের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল ২০ ফেব্রুয়ারি ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে ঢাকা পোস্ট বইমেলায় শেখ সুমাইয়া সুলতানার বই ” কিছু বলতে চাই কিশোরগঞ্জে পালিত হলো জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এর দায়িত্ব গ্রহন করলেন ডাঃ হেলাল বন্দুকের নল ঠেকিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে না- শায়েখে চরমোনাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে অবৈধ ইটভাটা; ১ লক্ষ টাকা জরিমানা

পা দিয়ে লিখেই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় মানিক রহমান

রিপোর্টার:
  • সর্বশেষ আপডেট : মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৯
  • ১৯৩ সংবাদটি দেখা হয়েছে

এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: হাত না থাকার পরও স্বপ্ন পূরণের স্পৃহা থেমে নেই। পা দিয়ে লিখেই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন অদম্য মেধাবী মানিক রহমান। মানিক রহমান ওষুধ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ময়নার ছেলে। ফুলবাড়ী জছি মিঞা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় ফুলবাড়ী বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের ৬ নম্বর কক্ষে একটি টেবিলের উপর বসে শুধুমাত্র ডান পা দিয়ে পরীক্ষার খাতায় লিখে পরীক্ষা দিচ্ছেন। তার রোল নম্বর-৬১৮০১৩।

মানিক রহমান পা দিয়ে লিখলেও লেখা ঝকঝকে ও হাতের লেখার চেয়ে অনেক ভালো। তার পায়ের লেখা দেখে অনেকে চমকে যাচ্ছেন। অনেকে বলছেন, সৃষ্টিকর্তা তার হাত না দিলেও পায়ের শক্তি দিয়েছে।

ফুলবাড়ী বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কানাই চন্দ্র সেন জানান, প্রতিবন্ধী মানিক রহমান একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। তার হাত না থাকলেও পা দিয়ে পরীক্ষার খাতায় পূর্ণ মার্কের পরীক্ষা দিচ্ছে সে। বোর্ডের সিদ্ধান্তে পরীক্ষায় লেখার জন্য ৩০ মিনিট বেশি সময় দিচ্ছি।

ফুলবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, মানিক রহমানের পা দিয়ে জেএসসি পরীক্ষার খাতার লেখা দেখে তিনি অভিভূত হয়েছেন। তার পা দিয়ে ঝকঝকে সুন্দর লেখা স্বাভাবিক হাতের লেখার চেয়েও ভালো। পরিক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ ও মেধা তালিকায় তার নাম থাকবে।

মানিকের বাবা মিজানুর রহমান ময়না জানান, আমার প্রতিবন্ধী ছেলে মানিক কষ্ট করে পা দিয়ে পরীক্ষায় খাতায় লিখে জিপিএ-৫ অর্জন করে আমাদের বুক আনন্দে ভরে দিয়েছে। মানিক পঞ্চম শ্রেনীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। ৮ম শ্রেনীতেও বৃত্তি পাবে আশা করছি। মানিকের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন পূরণে কিস্তিতে একটি ল্যাপটপ কিনে দিয়েছেন। এই ল্যাপটপ দিয়ে সে প্রাক্টিস করছে। মানিকের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার স্বপ্নপূরণে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।

মানিকের মা সহকারী অধ্যাপক মরিয়ম বেগম জানান, মানিক রহমানের জন্ম থেকেই দুই হাত ছিলনা। তার ডান পায়ের চেয়ে বাম পা টি জন্ম থেকেই ছোট। জন্মের সময় থেকে তার ঠোঁট ও তালুকাটা থাকলে ওপরে ঠোঁট ও তালু অপারেশন করে কাটা অংশটি ভালো করা সম্ভব হয়।

মানিক রহমান তার ভবিষ্যত স্বপ্ন সম্পর্কে বলেন, আমি লেখাপড়া শিখে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এই স্বপ্নপূরণে সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।

Facebook Comments Box

খবরটি পছন্দ হলে শেয়ার করুন

এই ক্যাটাগরির আরও খবর