এজি লাভলু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষের আশংকায় বৃহস্পতিবার উপজেলা কাউন্সিল হওয়ার স্থানে সভা সমাবেশ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এনিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহুতের্ব বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকাও করছেন অনেকে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির কমিটির মেয়াদ থাকার পরও জেলা বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা একক ভাবে কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে পূর্বের কমিটির সভাপতি নজির হোসেনকে আহবায়ক, জেলা বিএনপি’র সদস্য খোরশেদ আলমকে ১নং ও পূর্বের কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুলকে ২নং যুগ্ম আহবায়ক করে ১১ সদস্যের আহব্বায়ক কমিটি প্রদান করেন। অন্যদিকে কেন্দ্রিয় বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলামের নির্দেশে রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু একক ভাবে গঠিত আহব্বায়ক কমিটি বাতিল করে পূর্বের কমিটি বহালের চিঠি প্রেরণ করেন। এদিকে বৃহস্পতিবার জেলা কমিটির নির্দেশে ফুলবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা কাউন্সিলের প্রস্তুতি নেন নজির হোসেন ও খোরশেদ আলম গ্রুপের নেতারা। কিন্তু কেন্দ্রের নির্দেশে আহবায়ক কমিটি বাতিল হওয়ায় উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে অবৈধ কাউন্সিল প্রতিহত করার ঘোষনা দেন। ফলে পুলিশ আইন শৃংখলার অবনতির আশংকায় ওই মাঠ ও আশপাশের এলাকায় বিএনপির যেকোন ধরনের সভা সমাবেশ বন্ধ করে দেয়। দু’গ্রুপের সভা সমাবেশ ও কাউন্সিল বন্ধ হলেও বিকাল ৩ টায় উপজেলা সদরে আব্দুল মান্নান মুকুলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়।
উপজেলা কমিটির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান আহবায়ক মোঃ নজির হোসেন জানান, পুলিশ এক স্থানে সভা সমাবেশ বন্ধ করে দিলেও আমারা অন্য কোন স্থানে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো।
উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান মুকুল জানান, আমরা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নের নেতাকর্মিকে নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। একটি কুচক্রিমহল দলের গঠনতন্ত্র বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে পদের লোভে অবৈধ কাউন্সিলের আয়োজন করেছে। কেন্দ্রের নির্দেশে ফুলবাড়ী বিএনপি’র ত্যাগী নেতাকর্মীরা যেকোন মুল্যে ওই অবৈধ কাউন্সিল প্রতিহত করেছে।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান,একই স্থানে বিএনপি’র দুই গ্রুপ মিটিং ডেকেছে। আইন শৃংখলার অবনতির আংশকায় ওই স্থানে সভা সমাবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।