নিজস্ব প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের মানবাধিকারকর্মী ভোরের আলো সাহিত্য আসরের নারীপক্ষের সাধারণ সম্পাদিকা শামীমা সুলতানা ঝর্ণার স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে জেলা শহরের মডার্ণ ডেন্টালে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোঃ আজিজুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিআরডিবির সাবেক পরিচালক ও আসরের প্রধান পৃষ্টপোষক এড. মোঃ নিজাম উদ্দীন। সাহিত্য আসরের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ রেজাউল হাবিব রেজার পরিচালনায় মরহুমার জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন, শামীমার স্বামী মোঃ বদরুল আলম, মেয়ে মরিয়ম ছিদ্দিকা কচি, জামাতা মোঃ আমিরুল ইসলাম ভুইয়া, ভোরের আলো সাহিত্য আসরের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি মোঃ আবুল বাহার, উপদেষ্টা শামসুল মালেক চৌধুরী, প্রধান সমন্বয়কারী ডাঃ মোবারক হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক সাদী, সহ-সম্পাদক শফিক কবীর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফারুকুজ্জামান,সাংস্কৃতিক সম্পাদক নিরব রিপন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবীর রেহান, সহ-প্রচার সম্পাদক জহিরুল হাসান রুবেল, সদস্য শাহরিয়ার রশিদ, দৈনিক আমার বাতার্র জেলা প্রতিনিধি আবুল কাশেম, দৈনিক শতাব্দীর কন্ঠের স্টাফ রিপোটার্র মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ, লাখো কন্ঠের জেলা প্রতিনিধি আশরাফুল ইসলাম তুষার, শিল্পী আনতারা, শাহীন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত গতবুধবার (২৯ জানুয়ারি) কটিয়াদি উপজেলার ঘিলাকান্দি নামক এলাকায় সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে শামীমা সুলতানা ঝর্ণা তার চার বান্ধবীসহ নিয়োমিত বাড়ির পাশের মেইন রাস্তায় প্রতিদিনের ন্যায় হাঁটাহাটি করছিলেন। এমন সময় তার পেছনে থাকা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে একটি পিকআপ সজোরে ধাক্কা দেয়। পিকআপের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি শামীমা সুলতানাকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরে শামীমা সুলতানাকে দ্রুত উদ্ধার করে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে থেকে রাজধানীর আগারগাঁও এর নিউরোসাইন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর স্কয়ার হসপিটাল এবং সর্বশেষ হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের আইসিইউ’তে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু চিকিৎসকদের অন্তহীন প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে শুক্রবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে শামীমা পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।