সোমবার , ৩০ মার্চ ২০২০ | ১০ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অনিয়ম ও দূর্ণীতি
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আপডেট
  7. আরো
  8. ইসলাম
  9. এক্সক্লোসিভ
  10. কিশোরগঞ্জ
  11. কৃষি
  12. খুলনা বিভাগ
  13. খেলাধুলা
  14. গাজীপুর
  15. গাজীপুর জেলা

পুলিশ সুপারের আহবানে করোনা মোকাবেলা দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবীর অংশগ্রহণ; শতাধিক অপেক্ষমান

প্রতিবেদক
aasohan
মার্চ ৩০, ২০২০ ৭:২৮ পূর্বাহ্ণ

এজি লাভলু, স্টাফ রিপোর্টার

কুড়িগ্রাম জেলায় করোনার প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে করনীয় সংক্রান্তে ২৯ মার্চ দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলার প্রায় দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সংগঠনের কর্মীদের সাথে মত বিনিময় করেন কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খাঁন (বিপিএম)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ মেনহাজুল আলম, এএসপি উৎপল রায়, এএসপি শাহানা আক্তার (প্রবি) সহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

উপস্থিত সংগঠনের সকল সদস্যদের শুভেচ্ছা  প্রদানকালে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খাঁন (বিপিএম) কুড়িগ্রামে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গৃহীত সকল পদক্ষেপ, বাস্তবায়নকৃত সকল পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোকপাত করেন। আগত স্বেচ্ছাসেবী কর্মী ও সংগঠকদের প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে কি রকম সমস্যা ও অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তা মনোযোগ দিয়ে শুনেন।

তিনি প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে কুড়িগ্রাম জেলার মফস্বল এলাকার প্রান্তিক মানুষদের বিভিন্ন পর্যায়ের সমস্যা সমূহ শুনে তাৎক্ষনিক সমাধানের চেষ্টা করেন এবং কিছু কিছু সমস্যা নোট করেন যা পরবর্তীতে নিজেই আলোচনাপুর্বক প্রশাসনিকভাবে সমাধান করবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খাঁন (বিপিএম) বলেন, আমি একা বা আমার  কয়েকজন কর্মকর্তার পক্ষে জেলার প্রতিটি স্থানে গিয়ে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তিনি জেলার সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে একীভূত হয়ে সচেতনতা মূলক কার্যক্রম করার জন্য আহ্বান জানান।

তিনি ইতোমধ্যেই জেলার গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জীবানুনাশক স্প্রে, সচেতনতামূলক মাইকিং যা গ্রামাঞ্চলে  স্থানীয় ভাষায় প্রচার পাচ্ছে। প্রত্যেকটি থানা সহ বিভিন্ন স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। জেলা পুলিশ জেলার প্রতিটা বাজার নিয়মিত মনিটরিং করে যাওয়ার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় কাচামাল ও ঔষধের দোকানে আসা ক্রেতাদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিকে গুরত্ব দিয়ে কাজ করে চলেছে।

শুধুমাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ব্যতীত সকল দোকান বন্ধ রাখা, রাত ৮ টার আগেই সকল দোকানপাট বন্ধ করা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, সকল বিদেশ ফেরত এবং বর্তমানে ঢাকা থেকে আগত সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে উদ্বুদ্ধ করা, দ্রব্যমূল্যের দাম যাতে কেউ বেশি নিতে না পারে এজন্য নিয়মিত বাজার মরিটরিং করা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খাঁন (বিপিএম) স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা যে যার ইউনিয়নের প্রতিটি মসজিদের মধ্যে যেন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে (প্রয়োজনে মাইকিং করে), সোস্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখতে সকলকে সচেতন করা, ঔষধ দোকান সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানগুলোতে সামাজিক দুরত্ব নির্দিষ্ট করে দিতে ১ মিঃ দুরত্ব সাদা বা লাল কালি দারা চিহ্নিত করন ব্যবস্থা করা। প্রতিটি বাজারে ও অযুখানাতেও সাবান  হাত ধোয়ার এবং জীবানুনাশক স্প্রে করার ব্যবস্থা করতে হবে।

বৈশ্বিক সংকট গ্লোবাল তা এখন দেশের  যা আমাদের ঘাড়ের উপর খড়গ। এমতাবস্থায় প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ নদী চরাঞলের বিশাল জনগোষ্ঠী কে শতভাগ নিরাপদ রাখতে পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়ের গ্রামাঞ্চলে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী কর্মীদের সাথে পুলিশ সদস্যদের  মধ্যে পারস্পারিক যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধন করার উদ্দেশ্যেই পুলিশ সুপার কার্যালয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি ও কর্মীদের উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলকে আহবান জানিয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায় । জেলার শহর বন্দর গ্রাম সকল এলাকা থেকে আগত স্বেচ্ছাসেবী বন্ধুদের সাথে নিয়মিত সামাজিক কাজের পাশাপাশি অনাহুত কোভিড-১৯ এর যে কোন সংক্রামক দূর্যোগ মোকাবেলায় আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি গ্রহণের প্রথম ও শেষ ধাপ সম্পন্ন করতেই শর্ট নোটিশে এ মতামত সভা গুরুত্বপুর্ন ছিলো বলে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা মন্তব্য করেছেন। সমন্বিত উদ্যোগে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপস্থিত যুবকদের আগ্রহকে সাধুবাদ জানিয়ে সকলকে ধন্যবাদ জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম।

তিনি সকলকে নিজ ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে প্রান্তিক মানুষদের দিকে বিশেষ নজর দিতে, তাদের সচেতনতা সৃষ্টিতে নিয়মিত কাজ করার জন্য বলেন। তিনি মনে করেন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি আরো নজর দেয়া প্রয়োজন। তাদের কোথাও কোন সমস্যা হলে, সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত করা হলে পেজ মেসেন্জারে, ফোনে অথবা স্থানীয় থানায় জানানোর কথা বলেন। করোনা কালের কর্মহীন এসব মানুষদের খাদ্য, চিকিৎসা ঔষধ সংকট দেখা দিলে স্থানীয় মেম্বার, চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনায় রেখে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ ও সরবরাহের ব্যবস্থা রেখেছে। সুষ্ঠ নীতিমালা অনুযায়ী তালিকা ও বন্টন হলে যতবড় দূর্যোগ আসুক তা মোকাবেলা সম্ভব। বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম।

পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও কর্মীদের মধ্যে যারা আসতে পারেন নাই তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, সময় স্বল্পতার কারনে যারা আসতে পারেন নাই তাদের সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায় থেকে সঠিক গাইডলাইন ও একক লিংকে সমন্বিত থেকে সেবামুলক কাজের যথেষ্ট আগ্রহ প্রকাশ করছেন এবং আমাদের তথ্যমতে আপনাদের অনেকের সমাজসেবা মুলক কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে, করোনা ইস্যুতে অনেক সংগঠন সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজও করছে,যা ইতিবাচক। নিজ এলাকায় নিজেদের নিরাপত্তায় যথেষ্ট সতর্ক থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করার পরামর্শ দেন।  নিজেদের আচরন ও চলাফেরায় যেন শিক্ষনীয় বার্তা থাকে, তা দেখে অন্যরা যেন অনুকরনে আগ্রহী হয়। করোনাভাইরাস আতংক নয়,  ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখলেই প্রতিহত করা সম্ভব, এ বিষয়কেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার আহবান জানান। তিনি মনে করেন আবেগপ্রবন মানুষ পরিবারে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলেও এখনও ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে প্রায়ই ছন্দের পতন ঘটানোর সম্ভাবনা ও ঝুকি প্রবনতা থাকছেই। আগামী এক/ দুই সপ্তাহে আমাদের সকলের মারাত্মক ঝুকি আসতে পারে এরকম আশংকা মাথায় রেখে নিজেদের শতভাগ নিরাপদ ও সাবধানতা অবলম্বন করতে বাড়ীতে অবস্থান করি।

জেলা পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলায় শহর পেরিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও কম বেশী উদ্যমি যুবকদের মধ্যে স্বেচ্ছায় সামাজিক কাজ করার প্রবনতা লক্ষ্য করা যায়। অনাহুত কোন পরিস্থিতি সৃষ্টির আশংকা কে উড়িয়ে না দিয়ে তা মোকাবেলায়   অগ্রীম প্রস্তুতির অংশ হিসেবে সুযোগ্য পুলিশ সুপার সুদুরপ্রসারি চিন্তা ভাবনার অধিকারী মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে গোটা জেলার দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ সামাজিক কাজে অভ্যস্ত এমন যুবকদের একত্রিত করে সকল সচেতন কর্মক্ষম যুবকদের করোনা মোকাবেলায় কাজ করতে হবে সেরকম উদ্যোমি বার্তা পৌছালেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও টিমের যারা মাঠে সেবামুলক কাজ করছেন ও এখন থেকে মাঠকর্মী হিসেবে কাজে আসবে তাদের কাজকে নিরাপদ ও স্বাস্থসম্মত করাতে  জেলা পুলিশ প্রশাসন থেকে লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়ার কথা জানা যায়।

সর্বশেষ - স্বাস্থ্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

জাতীয় স্লোগান হিসেবে ‘জয় বাংলা’ ব্যবহারের নির্দেশঃ হাইকোর্ট

ভারতে শুরু হচ্ছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের উৎপাদন কাজ।

মো’দির মস্তিষ্ক ক’রোনার চেয়েও ক্ষ’তিকারক: শহিদ আ’ফ্রিদি।

কমিটি ঘোষণার আগেই কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের প্রার্থীর নামে অপপ্রচার!

কিশোরগঞ্জের প্রথম করোনা আক্রান্ত পুলিশ উপ পরিদর্শক সম্পূর্ণ সুস্থ

ভারতের ১৮ কিমি ভেতরে ঢুকে পড়েছে চীনা সেনারা’।

কিশোরগঞ্জ পৌরসভায় জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে মহামান্য রাষ্ট্রপতি’র জন্মদিন পালন

কিশোরগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে

প্রতিমন্ত্রী জাকিরের নিজ উদ্যোগে চিলমারীতে কম্বল বিতরণ

ভা’ড়ার বিনিময়ে শা’রীরিক স’ম্পর্ক চান বা’ড়িওয়ালারা।

আ’বারও অন্ধ;কার জগতে সা’নি লিওন, এবার যু’বকের সাথে! ভিডিও ফাঁ’স।