তি’নি বলেন, জরুরি কাজ ছাড়াও সাধারণ মানুষ অহেতুক বাইরে ভীড় করছেন। মানুষের জীবিকার তাগিদে সরকারকেও সীমিত পরিসরে কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কল কারখানা খুলে দিতে হয়েছে। এসব কারণে আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হয়তো আরও কিছু বৃদ্ধি পেতেও পারে।
ত’বে, এই বৃদ্ধি খুব বেশি ক্ষতিকর কিছু হবে না।আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নার্সিং ও মিড ওয়াইফারি অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সদ্য নিয়োগ পাওয়া পাঁচ হাজার নার্সের বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।জাহিদ মালেক বলেন, গার্মেন্টস ও বাজার খুলে দেয়ায় সংক্রমণের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।
ত’বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে এই সংখ্যা কমে আসবে। অন্যান্য দেশের চেয়ে আমরা ভালো করছি। সরকার সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলেই আমাদের আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক কম বলেও জানিয়েছেন তিনি।মন্ত্রী বলেন, করোনা নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা গত এক মাসে বহুগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে আমরা বেশিসংখ্যক আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পারছি। যত বেশি আক্রান্ত মানুষ চিহ্নিত হবে, তত আক্রান্তের ঝুঁকিও কমবে।
এ’ই নমুনা পরীক্ষা খুব দ্রুতই ১০ হাজার এবং এরপর তা ১৫ হাজারে নিয়ে যাওয়া হবে। এর জন্য সরকারের হাতে পর্যাপ্ত কিটসও মজুদ আছে।নার্স, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য খাতের অন্য কর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলাদা একটি সফট কর্নার আছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবারও বলেন, পাঁচ হাজার ৫৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান উল্লেখ করার মতো। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুই হাজার চিকিৎসক ও ছয় হাজার নার্স নিয়োগের বিষয়টি তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি একদিনেই ফাইল মঞ্জুর করে দেন।
তা’ই নবনিযুক্ত নার্সদের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত এবং কোভিড-১৯ সেবায় আলাদা রকম দরদ দিয়ে কাজ করা উচিত।মন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ অসহায় হয়ে চিকিৎসকদের কাছে আসেন। তাই চিকিৎসক-নার্সদের উচিত রোগীদের পাশে দাঁড়ানো। রোগীদের মানসিকভাবে শক্তি বৃদ্ধি করা আপনাদের দায়িত্ব।করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে অনেকগুলো কোভিড-১৯ হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়েও করা হয়েছে। এই সকল হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য সিনিয়র স্টাফ নার্সদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী। শুধু করোনা রোগী নয়, সকলকেই সেবা দেওয়া এবং নিজেদের সুরক্ষিত রাখতেও আহ্বান জানান তিনি।
না’র্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক চৌধুরী।