ধ’র্ম ডেস্ক : আল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার রসুল বা প্রেরিত পুরুষ এটি হলো ইমানের মূল ভিত্তি।
ই’সলাম এই ভিত্তির ও’পর প্রতিষ্ঠিত।
আ’ল্লাহ ও তা’র রসুলের পথকে যারা আগ্রাহ্য করবেন তাদের কোনো ইবাদতই গ্রহণযোগ্য হবে না।
হ’জরত আ’বু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইমানের সত্তরের অধিক শাখা-প্রশাখা তথা বিধিবিধান রয়েছে।
ত’ন্মধ্যে স’র্বোত্কৃষ্ট শাখা হলো আল্লাহ ব্যতীত কোনো মাবুদ নেই ঘোষণা করা এবং সর্বনিম্ন শাখা হলো রাস্তা থেকে ক’ষ্টদায়ক কোনো বস্তু দূর করা।
আ’র ল’জ্জাশী’লতা ইমানের একটি বিশেষ শাখা।
(বু’খারি ও মু’সলিম) আল্লাহকে একমাত্র মাবুদ হিসেবে মনেপ্রা’ণে স্বীকার করা এবং তার ইবাদতের তাগিদ দেওয়া হয়েছে অসংখ্য হাদিসে।
আ’ল্লাহ ছাড়া কোনো মাবুদ নেই এবং মুহাম্মদ (সা.) তার রসুল।
না’মাজ কা’য়েম করবে, জাকাত আদায় করবে, রমজানে রোজা রাখবে এবং বায়তুল্লাহ শরিফে তুমি যদি পৌঁছতে সক্ষম হও তবে হজ করবে।
লো’কটি বললেন ঠিকই বললেন।
তা’র এ ক’থায় আমরা আশ্চর্যান্বিত হলাম যে, তিনি স্বয়ং হুজুরকে প্রশ্নও করলেন আবার তিনিই তাকে সত্যবা’দী বলে মন্তব্য করলেন।
অ’তঃপর তি’নি জিজ্ঞাসা করলেন আমাকে বলুন ইমান কাকে বলে? রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর দিলেন আল্লাহপাককে বিশ্বাস করবে, তার ফেরেশতা, তার কিতাবসমূহের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে।
লো’কটি পুনঃজিজ্ঞাসা করলেন— ইহসান কি? উত্তরে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ইহসান হলো তুমি আল্লাহপাকের ইবাদত এরূপ করবে, যেন তুমি তাকে দেখছ।
আ’র য’দি তুমি তাকে দেখতে না-ই পাও তাহলে এরূপে ইবাদত করবে যেন তিনি তোমাকে দেখছেন।
এ’সব কথা শুনে লোকটি বললেন, আপনি সত্যিই বললেন। (বুখারি ও মু’সলিম)।