তু’লসী আমাদের সবার পরিচিত একটি ঔষধিগাছ। এ গাছের পাতায় ব’হু রো’গ সারানোর উপকারি গুণ রয়েছে।তু’লসী পাতার রস বা চা প্রতিদিন একগ্লাস করে পা’ন ক’রলে, আমাদের কিডনিতে পাথর হওয়ার আশংকা কমে যায়।
আর যদি কি’ডনিতে পা’থর জমে তাহলে তুলসী পাতার রস টানা ৬ মাস পান করলে সেই পাথর গলে প্র’স্রাবের স’ঙ্গে বেরিয়ে যায়।এছাড়া সর্দি, কাশি, কৃমি, প্রস্রাবে জ্বালা কমায়, হজ’মকারক ও কফ গলাতে দারুন কাজ করে তুলসী পাতা। এটি ক্ষত সারাতে এন্টিসেপটিক হিসেবেও কাজ করে।তুলসিপাতা দিয়ে চা ও মিশ্রণ তৈরির কয়েকটি প্রস্তুত প্রণালী নিম্নে দেয়া হলো : তুলসী পানি।
উপকরণ : দু’ই কা’প পানি ও কয়েকটি পাতা।প্রস্তুত প্রণালী : একটি পাত্রে দুই কাপ পানি নিন। এর সঙ্গে কয়েকটি তুলসিপাতা সিদ্ধ করুন। ফুটে উঠলে নামিয়ে পা’ন ক’রতে পারেন। এই মিশ্রণটি গলা ব্যথা ও খুসখুসে কাশি কমিয়ে আপনাকে আরাম দেবে। তুলসী-চা, উপকরণ : ১০-১৫টি তুলসীপাতা, গুড়, পানি ও লেবুর রস।প্রস্তুত প্রণালী : প্রথমে গুড় ও তুলসীপাতা বেটে নিন। এর মধ্যে দেড় কাপ পানি ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলায় বসান। মিশ্রণটি ফুটে উঠলে নামিয়ে ফেলুন।
এই চা পান ক’রলে আপনার শ’রীর উ’ষ্ণ থাকবে।উপকরণ : এক’ টুকরো আদা, গোলমরিচ, লবঙ্গ, তুলসীপাতা, দারুচিনি, এলাচ পরিমাণ মতো।প্রস্তুত প্রণালী : পরিমাণমতো পানিতে উপরের উপকরণগুলো মিশিয়ে জ্বা’ল দিন।১০ মিনিট পর নামিয়ে ছেকে পান করতে পারেন।
এই ভেবষজ তু’লসী-চা আ’পনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষ’মতা বা’ড়ায় এবং ডে’ঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগ থেকে বাঁচানোর ক্ষমতা রাখে।হার্বাল জুস উপকরণ : আজওয়াইন, তুলসীপাতা, জিরা, আমচুর গুঁড়া, লবণ এবং পুদিনা পাতা পরিমাণ মতো। প্রস্তুত প্রণালী : চার কাপ পানিতে উপরের উপকরণগুলো মিশিয়ে ১০-১৫ মিনিট জ্বাল দিন।
এরপর পা’ন করুন। এই জু’স প্র’তিদিন পান করেল হজমশক্তি বাড়বে এবং পা’নিশূন্যতা থেকেও আপনাকে রক্ষা করবে।