তা’রা টা’কার বি’নিময়ে নতুন করে বাসর সাজায়। সোহাগ বিক্রি করে। স’মাজ যাকে ডাকে প’তিতা বলে। রো’জ রাতে হাতে হাতে বদল হওয়া এমনি একজন স্বপ্না (ছ’দ্মনাম)। অভাবের তাড়নায় ১৫ বছর বয়সে এক গা’র্মেন্টসে কাজ শুরু করেন। সেই বে’তনের টাকাতে অনেক ক’ষ্টে চলত তার আর বৃ’দ্ধ বাবা-মা’য়ের জীবন।
ক’মাত্র ভাই ভি’টেবাড়ি বি’ক্রি করে ভাগ্য উন্নয়নের জন্য বিদেশ পাড়ি জমায়।দিনের আলো নিভে গেল; রাত নেমেছে।আ’স্তে আস্তে অন্ধকারে ছেয়ে যাচ্ছে চার পাশ। ছু’টে চলা গাড়ির হর্ন আর রেলের ঝিকঝিক ছন্দে গন্তব্যে যা’চ্ছে ক্লা’ন্ত মা’নুষেরা। শুধু ক্লান্তি নেই এই জনপদের বাসিন্দাদের। এখানে রাত নামে না, নামে হাজারো স্বপ্নের কফিন। হাজারো দীর্ঘশ্বাসের দেহ পসরা বসে।
ব্য’স্ত তারা পসরা আ’কর্ষণীয় স’স্তা মেকাপের প্রলেপে। প্রেমহীন এই জনপদের সবাই ভিন্ন জগতের বাসিন্দা এই জগতের বাসিন্দাদের কোনো ভেদাভেদ নেই।কি’ন্তু তার আর কোনো খোঁজ পায়নি তার পরিবার। বাধ্য হয়েই সং’সারের হাল ধরতে হলো মে’য়েটিকে। এ’লাকার এক আপা গার্মেন্টসে চাকরি করত।
তার স’ঙ্গেই গা’র্মেন্টে চা’করিতে যোগ দেয় স্বপ্না। বছরখানেক পরে ভালো বেতনের চাকরির লোভ দেখিয়ে এক দা’লাল তাকে ধরে এনে বিক্রি করে দেয় দৌ’লতদিয়ার প’তিতালয়ে। এরপর থেকেই সে অন্ধকার জগতের বাসিন্দা।এভাবেই কেটে যাচ্ছে তার জীবন নামের রে’লগাড়িটানারী পা’চারকারীদের খ’প্পরে প’ড়ে টাঙ্গাইলের এক পতি’তালয়ে বিক্রি হওয়া একজন কিশোরী রানী (ছদ্মনাম)।
জ’ন্মের পর’ বাবা-মা আদর করে একটি নাম রাখলেও সেটি হারিয়ে গিয়েছিল নারী পা’চারকারীদের খ’প্পরে পড়ে। প’তিতালয়ে ওকে দেয়া হয়েছিল এই রা’নী না’মটিই। প্রায় ছয় মাস এই পতিতালয়ের চার দেয়ালের মাঝে প্রতিদিন ভোগের পণ্য হয়ে ব’ন্দী জীবন কাটাচ্ছিলেন তিনি। অবশেষে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অদম্য বা’সনায় মুক্তি মিলেছে তার।
সু’যোগ নেই খ’দ্দের বাছাইয়ের।কোনো মেয়েই খারাপ হয়ে জন্মায় না। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশে অর্থনৈতিক সমস্যা, পক্ষপাতদুষ্ট সামাজিক নিয়ম, পারিবারিক শি’ক্ষা ও মূল্যবোধের অভাব ইত্যাদি পরিস্থিতির স্বীকার হয়েই একটা মেয়ে বেছে নিতে বাধ্য হয় এই ঘৃণিত জীবন।
এটা কো’নো মে’য়েরই কা’ম্য জীবন নয়।একটা মেয়ের পতি’তা হয়ে উঠার পেছনেরকাহিনী যাই হোক এটা ঠিক যে, কোনো মেয়েই স্বেচ্ছায় প’তিতার জীবন বেছে নেয় না। কিন্তু প্রায় সব সময়ই যে বা যারা এই মে’য়েটিকে অ’ন্ধকার জীবনে ঠেলে দিচ্ছে তারা র’হস্যময়ভাবে থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
যে পু’রুষটি তাকে ব্য’বহারের মাধ্যমে পতিতার সিলমোহর লাগিয়ে দিচ্ছে সে-ও সমাজের বুকে কোনো না’রীর স’ন্তান, ভাই, স্বামী বা বাবা হিসেবে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।