ছো’টবেলা থে’কেই প’ড়ালেখার প্রতি ভী’ষণ ম’নোযোগী ছি’লেন ব’ঙ্গবন্ধু শেখ মু’জিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযু’ক্তি বি’শ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শি’ক্ষার্থী ম’রিয়ম সু’লতানা মু’ন্নী।
স্ব’প্ন ছিলো ভালো চা’করি করে স্বা’বলম্বী হবেন এবং প’রিবারের মুখে হাসি ফো’টাবেন।
কিন্তু না’র্সের ভুল ই’নজেকশন মু’ন্নীকে তার স্ব’প্নের পেছনে ছুটতে দেয়নি।
২০১৯ সালের ২১ মে ভুল ই’নজেকশনে জ্ঞা’ন হা’রানোর পর এক বছর ধরে বি’ছানাতেই ব’ন্দী হয়ে আছে মু’ন্নীর জী’বন।
চোখ খুলে তাকাতে পারলেও ই’নজেকশনের প্রভাবে কথা বলা এবং চলাফেরার ক্ষ’মতা হা’রিয়েছেন স’মাজবি’জ্ঞান বিভাগের এই ছা’ত্রী।
মু’ন্নীর চি’কিৎসা স’ম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রো’গের চি’কিৎসা হয়, কিন্তু এটাতো মানুষের দ্বারা সৃষ্ট সমস্যা।
পৃ’থিবীর কোথাও এই সমস্যার কোনো ওষুধ নেই। তাই আপাতত: ডাক্তারের পরাম’র্শ অ’নুযায়ী শুধু খি’চুনি ব’ন্ধের ওষুধ দেয়া হচ্ছে।’
মুন্নীর বিষয়ে তার সহপাঠী সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আ’নজুমান আরা আঁখি বলেন, ‘ভু’লটা ছিলো নার্সের।
কিন্তু আজ ভু’ক্তভোগী শুধুমাত্র মু’ন্নী। এটি আ’মাদের জন্য খুবই দুঃখজনক যে, এই ঘটনায় জ’ড়িত সবার জীবন স্বাভাবিক থাকলেও মুন্নী আর স্বা’ভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘মুন্নী সুস্থ হয়ে উঠুক, এই ঘটনায় জ’ড়িতরা স’বাই শা’স্তি পাক। এমন ঘটনার আার পু’নরাবৃত্তি না ঘটুক, এটাই আমাদের প্র’ত্যাশা।’
এদিকে এ ঘটনায় মুন্নীর চাচা জাকির হো’সেন বাদী হয়ে গো’পালগঞ্জ থা’নায় চিকিৎসক তপন কুমা’র ম’ন্ডলসহ দু’ই নার্স শাহনাজ ও কুহেলিকাকে আ’সামি করে হ’ত্যাচেষ্টার মা’মলা করলেও এখনো মা’মলার তে’মন কোনো অগ্রগতি হয়নি।
উ’ল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ মে রাতে পি’ত্তথলিজনিত স’মস্যার কারণে ডা’ক্তার তপন কুমা’র মন্ডলের অধীনে ২৫০ শ’য্যা বি’শিষ্ট গো’পালগঞ্জ সদর হাসপাতা’লে ভর্তি হন মু’ন্নী।
কিন্তু ২১ মে সকালে হা’সপাতা’লের ফি’মেল ওয়ার্ডের সি’নিয়র স্টা’ফ না’র্স রো’গীর ফাইল না দেখে গ্যা’সট্রাইটিসের ই’নজেকশন সারজে’লের পরিবর্তে অ্যা’নেস্থেসিয়ার (অ’জ্ঞান কারার) ই’নজেকশন সা’রভেক মুন্নীর শরীরে পুশ করেন।
এই ই’নজেকশন দেয়ার সঙ্গে স’ঙ্গে জ্ঞান হারিয়ে ফে’লেন মু’ন্নী।
প’রাবর্তীতে এ ঘটনায় অ’ভিযু’ক্ত না’র্স শাহা’নাজ এবং কু’হেলিকার বি’রুদ্ধে অ’ভিযোগ প্র’মাণিত হওয়ায় তা’দের সা’ময়িক ব’হিষ্কারের নি’র্দেশ দেয় স্বা’স্থ্যসেবা অ’ধিদপ্তর