ঢেঁ’ড়স অনেকেরই খুব পছন্দের একটি সবজি। যা ভাজি কিংবা তরকারি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি কেবল খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে নানান পুষ্টিগুণও।অত্যন্ত পুষ্টিকর ও ও’ষুধি গুণসম্পন্ন হওয়ায় প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ঢেঁড়স রাখা জরুরি। ঢেঁড়সে কোলেস্টেরল কিংবা ফ্যাট নেই।
তা’ই পটাশিয়াম, ভিটামিন বি, ক্যালসিয়াম ও আয়রনসমৃদ্ধ এই ঢেঁড়স নিয়মিত খেলে বিভিন্ন রো’গ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক সুস্বাস্থ্যের জন্য ঢেঁড়সের উপকারিতা সম্পর্কে-> ঢেঁড়সে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ক্যান্সার রো’গ সৃষ্টিকারী কোষগুলোকে ধ্বং’স করে সহজেই। আর এই ভ’য়ানক রো’গ নিরাময়ে সাহায্য করে।> হাঁপানিতে ভুগছেন?
হাঁপানি রো’গের হারবাল চিকিৎসায় ও’ষুধ হিসেবে ঢেঁড়স ব্যবহার করা হয়। যা বেশ কার্যকরী। এটি শ্বাসক’ষ্ট প্রতিরোধ করে। এছাড়া ঢেঁড়স বীজ দিয়ে তৈরি তেল শ্বাসক’ষ্ট কমাতে বেশ সহায়ক।> খালি পেটে ঢেঁড়স ভেজা পানি খেলে রো’গ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃ’দ্ধি পায়।
প্র’তি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে রয়েছে ০.০৭ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন, ০.০১ মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন। যা ডায়াবেটিস রো’গীর স্নায়ুতন্ত্রে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং তা সতেজ রাখে।তাই বলা যায়, ব্লাড সুগার কমাতে এর বিকল্প নেই। অতএব ডায়াবেটিস রো’গীদের প্রতিদিনের খাবারে অবশ্যই ঢেঁড়স রাখা জরুরি।> দেহে লোহিত র’ক্তকণিকার উৎপাদন বাড়াতে নিয়মিত ঢেঁড়স খান।এতে সহজেই র’ক্তশূন্যতা দূর হবে।
এ’ছাড়া ঢেঁড়সের থাকা সলিউবল ফাইবার (আঁশ) পেকটিক র’ক্তের বাজে কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে এবং অ্যাথেরোসক্লোরোসিস প্রতিরোধ করে।অ’ন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নিয়মিত ঢেঁড়স খান। কারণ এতে থাকা ফলেট উপাদানটি গর্ভের শি’শুর সঠিক বিকাশে সাহায্য করে।
ঢেঁড়সে আছে বেটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, লিউটিন। যা চোখের গ্লুকোমা ও চোখের ছানি প্রতিরোধে সাহায্য করে। ঢেঁড়স হাড় মজবুত রাখতে সহায়ক। প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে রয়েছে ৬৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৫ মিলিগ্রাম লোহা, যা হাড়কে মজবুত রাখে।