ক’রোনা’ভাই’রাসে আ’ক্রান্ত হয়ে মা’রা গেছেন অ’তিরিক্ত সচিব মোঃ তৌফিকুল আলম (ইন্নালিল্লাহি অইন্নাইলাহি রাজিউন)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতা’লে শু’ক্রবার
তিনি মা’রা যান।এই দিকে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৪ জনের প্রা’ণ কেড়ে নিয়েছে করো’না’ভাই’রাস (কো’ভিড-১৯), যা এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃ’ত্যুর রেকর্ড। ফলে ভাই’রা’সটিতে আ’ক্রান্ত হয়ে মোট ৪৩২ জন মা’রা
গেলেন।একই সময়ে করোনায় আ’ক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৬৯৪ জন, এটিও একদিনে স’র্বোচ্চ শনা’ক্তের রেকর্ড। এতে মোট আ’ক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল
৩০ হাজার ২০৫ জনে।শুক্রবার (২২ মে) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করো’নাভাই’রাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।বুলেটিন উপস্থাপন করেন অধিদফতরের অ’তিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবারের বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ১৫৪ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন তিন হাজার ৮৯৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭৩ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৯৬৬ জন।সারাদেশে আই’সোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। তন্মধ্যে
রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে আছে ছয় হাজার ৩৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা আছে ৩৯৯টি, ডা’য়ালাইসিস ইউনিট
আছে ১০৬টি।দেশের বিভিন্ন জে’লা-উপজে’লা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।ডা. নাসিমা করো’নাভাই’রাস সংক্রমণের ঝুঁ’কি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বি’শ্ব স্বা’স্থ্য সংস্থার পরাম’র্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানান বুলেটিনে।চীনের উহান
শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করো’নাভাই’রাস এখন গোটা বিশ্বকেই কাঁপিয়ে দিচ্ছে। এ ভাই’রাসে বিশ্বজুড়ে আ’ক্রান্তের সংখ্যা এখন ৫১ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃ’তের সংখ্যা সোয়া তিন লাখেরও বেশি। তবে ২০ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।বাংলাদেশে প্রথম
করো’নাভাই’রাস শনাক্ত হয় গত ৮ মা’র্চ। তারপর দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আ’ক্রান্তের সংখ্যা। লম্বা হচ্ছে মৃ’ত্যুর মিছিলও।