বাংলাদেশে করো’না সং’ক্রম’ণের আগে শুরু হয়েছিল শুদ্ধি অ’ভিযান। দু’র্নীতি, ক্যাসিনো বাণিজ্য ও অনিয়মের বি’রুদ্ধে শুদ্ধি অ’ভিযান। এই শুদ্ধি অ’ভিযানে সর্বশেষ আ’ট’ক ব্যক্তি ছিলেন পাপিয়া।
যিনি স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতা হয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছিলেন এবং একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দিনের পর দিন আসর বসিয়ে থাকতেন।
পাপিয়ার এই কাহিনীর রেশ কাটতে না কাটতেই করো’না আ’ক্রা’ন্ত হয়ে যায় বাংলাদেশ। এরপরই দু’র্নীতি ও
দু’র্বৃত্তা’য়নবিরোধী অ’ভিযান বন্ধ হয়ে যায়। অনেকেই মনে করেন করো’না তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে বসেছে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. জাহিদ মালেক ২ হাজার নতুন ডা’ক্তার নিয়োগের সময় করো’না তাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বলে বিতর্কিত হয়েছেন।
এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। করো’নার মত একটি মহা সং’কট’কে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এভাবে দেখলেন, এটি যথাযথ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে। কিন্তু সত্যি সত্যি যে ক’রোনা কিছুমানুষের জন্য কিছু দু’র্বৃত্ত দু’র্নীতিবা’জদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে।
এর ফলে তাদের বিচার কার্যক্রমগুলো যেমন স্থগিত হয়ে গেছে, তেমনি তাদের বি’রুদ্ধে যে কার্যক্রম সেই
কার্যক্রমগুলো বন্ধ হয়েছে এবং মানুষের দৃষ্টিও অন্যদিকে চলে গেছে। ফলে তারা অনেকেই এখন জামিন নেয়ার
প্রক্রিয়া করছেন এবং নানা রকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করার চেষ্টা করছেন। আসুন আম’রা সেই সমস্ত দু’র্বৃত্তদের কয়েকজনকে চিনে নেই-
১. খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া: যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অ’ভিযানে সর্বপ্রথম যিনি গ্রে’প্তার
হয়েছিলেন তিনি হচ্ছেন এই খালেদ। মতিঝিল এলাকায় চাঁদাবাজি করতেন সাবেক ফ্রিডম পার্টির এই নেতা।
তাকে গ্রে’প্তার করার পর তার বি’রুদ্ধে অ’স্ত্র মা’মলা, চাঁদাবাজির মা’মলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু একমাত্র
অ’স্ত্র মা’মলায় তিনি দ’ণ্ডিত হয়েছিলেন। বাকি মা’মলাগুলো অচল হয়ে আছে এবং এর কার্যক্রম প্রায় নেই বললেই চলে। করো’না পরি’স্থিতির কারণে এখন
তার সব মা’মলা মোটামুটি বন্ধ হয়েই আছে। কারাগারে আরাম আয়েশের জীবন কা’টাচ্ছেন এই ব্যক্তিটি।
২. ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট:ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী
সম্রাট তিনি জনপ্রিয় নেতাও ছিলেন। কিন্তু তার মূল কাজ ছিল চাঁদাবাজি, টে’ন্ডার বাণিজ্য, ক্যাসিনো বাণিজ্য। মতিঝিল পাড়ার ক্যাসিনো গ’ডফা’দার ছিলেন এই সম্রাটই।
এই ঘটনার পর শুদ্ধি অ’ভিযানে সম্রাট গ্রে’প্তার হন এবং তার বি’রুদ্ধে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে একটি মাম’লায় তাৎক্ষনিকভাবে বিচার দেয়া হয়। অ’স্ত্র আইনেও তার
বিরু’দ্ধে মাম’লা রয়েছে। কিন্তু ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরু’দ্ধে ক্যাসিনো ও অন্যান্য অ’প’রাধের মা’মলা হয়নি এবং এখন করো’না সংক’টের কারণে সব মা’মলা স্তিমিত হয়ে গেছে।
এখন সম্রাট কারাগারে মুক্তির অ’পেক্ষায় আছেন। সুবিধাজনক সময়ে সম্রাটের মুক্তি হবে বলে মনে করছেন তার অনুসারিরা। কারণ ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের বিরু’দ্ধে যে মাম’লাগুলো হয়েছে সেগুলো প্রমাণ করা ক’ষ্টসাপেক্ষ এবং শেষ পর্যন্ত এই করো’না সং’কট কালে তার মা’মলার ব্যাপারে কতটুকু মনোযোগী হতে পারবে সরকার সেটিও একটি দেখার বিষয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।