বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলেই বিএনপি চাঙ্গা হবে- এমন আ’শঙ্কা যারা করেছিলেন তাঁরা অচিরেই হতাশ হয়েছেন। বিএনপি চাঙ্গা হওয়া তো দূরের কথা, আরো গর্তে ঢুঁকে গেছে খালেদা জিয়ার মুক্তির পর। বেগম খালেদা জিয়া নিজেই হোম কোয়ারেন্টাইনের নামে দলের সব নেতা-কর্মীদের সাথে যোগযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
কে’বল মাত্র তাঁর পরিবারের লোকজন এবং কয়েকজন চিকিৎসক ছাড়া কেউই তাঁর বাসায় যেতে পারছে না।তাই ঘরে বসে থাকা ছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীদের এখন কিছু করার নেই। ক’রোনার স’ঙ্কট শুরুর দিকে বিএনপি নেতারা কিছু ত্রাণ তৎপরতা চালু করেছিলেন এবং কিছু সচেতনতা মূলক লিফলেট-ও বিতরণ করেছিলেন।
সে’ই কার্যক্রমও এখন বিএনপি বন্ধ করে দিয়েছে এবং ৩/৪ দিনে বিএনপির কোন নেতৃবৃন্দকেই জনসম্মুখে আসতে দেখা যায়নি, কোন ভিডিও বার্তা/অডিও বার্তা কিংবা ঘরে বসে কোন বাণীও বিএনপি নেতারা শোনাননি।যদিও বিএনপি তৃণমূলের নেতৃত্ব তারেকের হাতে।
ত’বে বিএনপির একাধিক নেতা মনে করছে যে, বেগম খালেদা জিয়া যে ২৫ মাস জে’লে ছিলেন, সেই ২৫ মাস বিএনপি নেতারা যারা আওয়ামী লীগ বা স’রকারের সাথে নানা রকম আপোস রফা করেছে, অ’বৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন এবং যারা বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন জে’লে রাখার ফন্দিফিকির করেছে তাঁদের একটি তালিকা বেগম জিয়া করেছেন।
বি’শেষ করে ৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের আগে যখন বিএনপি স’রকারের সাথে দর কষাকষি শুরু করে তখন বিএনপি নেতৃবৃন্দকে শামীম এস্কান্দার এবং তাঁর বোন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বি’ষয়টিকে সামনে নিয়ে এসে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু বিএনপি নেতৃবৃন্দ কোন রকম শর্ত ছাড়াই নির্বাচনে গিয়েছিলেন।ক’রোনার কারণে দেশের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়, এজন্য এই মুহুর্তে বেগম খালেদা জিয়া কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের একজন সদস্য।
তাঁ’রা বলেছেন যে, ক’রোনা পরিস্থিতি স্বভাবিক হলেই বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির কর্তিত্ব নিবেন এবং বিএনপিতে একটি বড় ধরণের শুদ্ধি অ’ভিযান করবেন। বিশেষ করে যারা বিভিন্ন সময়ে স’রকারের সাথে আঁতাত করে বেগম খালেদা জিয়াকে মৃ’ত্যুর মুখে ঠেলে দিতে চেয়েছিলেন, তাঁদেরকে চিহ্নিত করা হবে এবং তাঁদের বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ত’বে এই ব্যবস্থা শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া নিতে পারবেন কিনা সেই ব্যাপারেও স’ন্দেহ রয়েছে। কারণ বেগম খালেদা জিয়া চাইলেই বিএনপিতে সবকিছু হবে, সেই বাস্তবতা এখন নেই বলে মনে করেন বিএনপির অনেক নেতারা।