ক’রোনাভা’ইরাসে সং’ক্র’মণ প্রতিরোধে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ স’রকার ব্যর্থ মন্তব্য করে বিএনপির মহাস’চিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই স’রকার স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে কিছুই করেনি।লকডাউন শিথিল করে মানুষকে ঝুঁ’কির মধ্যে ফেলা হয়েছে। পুরানো ঢাকায় দেখবেন হাজার হাজার মানুষের ঢল।
কি’সের সামাজিক দূরত্ব। ক’রোনা প্রতিরোধে নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।মির্জা ফখরুল বলেন, ক’রোনাভা’ইরাসেে যারা মৃ’ত্যুবরণ করেছেন বিশেষ করে চিকিৎস, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক, আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য, ব্যাংকার, পেশাজীবী, শ্রমজীবী মানুষ, তাদের প্রতি গভীর শো’ক প্রকাশ করছি।তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যারা এই ক’রোনা মো’কাবিলায় অগ্রসে’নানী হিসেবে কাজ করছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যসেবী কর্মী, বিভিন্ন আইন-শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যসহ, সাংবাদিক, বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মী, ব্যাংকার, শ্রমজীবী মানুষ (গার্মেন্টস কর্মী) অর্থনীতিকে বাচিয়ে রাখতে যারা জীবনের ঝুঁ’কি নিয়ে কাজ করছেন তাদের।
তি’নি বলেন, প্রায় সোয়া দুই মাস আগে বাংলাদেশে ক’রোনা রো’গী শনাক্তের পর স’রকারের সমন্বয়হীনতা ও উদাসীনতায় এখন প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্তান্ত ও মৃ’ত্যুর সংখ্যা।স’রকার ঘোষিত ৪২টি সেন্টারের বেশ কয়েকটি সেন্টার কার্যকর নয়। যেসব সেন্টারে টেস্ট হচ্ছে তাও অপর্যাপ্ত। মানুষ লাইন ধরে ফিরে যাচ্ছে টেস্ট না করে। গণমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের সামনের সড়কে কি লম্বা লাইন। আগের রাতে লাইন ধরে অ’সুস্থ রো’গীরা কিভাবে শুয়ে আছে, বসে আছে। তারপরও টেস্টের সিরিয়াল পাচ্ছে না।
অ’ন্যান্য হাসপাতালগুলোতেও একই অবস্থা। যে পরিমাণ টেস্ট হচ্ছে তাও আবার এখন পর্যন্ত দিনে ১০ হাজারে ওঠেনি। এরমধ্যে আ’ক্রান্তের সংখ্যা ১৬ শতাংশ উঠেছে। যদি বেশি টেস্ট হতো তাহলে আ’ক্রান্তের সংখ্যা আরো অনেক বেশি বেড়ে যেত। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বারবার বলেছে টেস্ট টেস্ট টেস্ট। টেস্টের কোনো বিকল্প নেই। যত বেশি টেস্ট করা হবে তত বেশি সংক্রমিত জনগোষ্ঠীকে বাঁচানো সম্ভব হবে।মির্জা ফখরুল বলেন, ক’রোনা আ’ক্রান্ত রো’গীরা হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও ঘুরেও ভর্তি হতে পারছেন না। অভিযোগ রয়েছে স’রকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মৃ’ত্যু হয়েছে বিনা চিকিৎসায়। এ যদি স’রকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার অবস্থা হয় তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কী তাতো বুঝাই যায়।
শু’ধু কিটের অভাবে ক’রোনার টেস্ট করতে পারছেন না আ’ক্রান্ত রো’গীরা। অথচ ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেবের কিট অনুমোদন নিয়ে কত টালবাহা’না চলছে। সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক’রোনার সং’ক্র’মণ এখন ঊর্ধ্বমুখী, স’রকার ক’রোনা মো’কাবিলায় চারদিক থেকে ব্যর্থ। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আছে বলে স’রকারের মন্ত্রীরা প্রতিদিন মুখে বুলি আওড়াচ্ছেন।
অ’থচ স্বাস্থ্য খাতে জি’ডিপির এক শতাংশও বরাদ্দ দেয়া হয়নি। আবার যেটুকু বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল তাও হরিলু’ট হয়েছে। যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে স’রকারি টাকা লু’ট হয়েছে। স’রকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ও ভেন্টিলেটর ব্যবস্থা অপ্রতুল। দেশের ৯০ ভাগ হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থাও নেই। এমনকি হাসাপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হয়নি।