ঘূ’র্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে বিধ্বস্ত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। বিপুল পরিমাণ সম্পদ নষ্ট হয়ে পথে বসার উপক্রম কয়েক লাখ মানুষের। এখনো পানি বন্দি আছেন লক্ষাধিক মানুষ।
তা’দের উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাসহ ইতোমধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা।বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফান পরবর্তী দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বিক ত্রাণ, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী।
এ ছা’ড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা দিতে সেনাবাহিনীর ৭৬টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। খাদ্য সহায়তা হিসেবে সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১২ হাজার ৫০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ১৬টি ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্ল্যান্ট ও ১৪টি ওয়াটার বাউজার প্রস্তুত রেখেছে তারা।ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভোলা ও হাতিয়ার দুর্গম এলাকায় ত্রাণ সহায়তার জন্য নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ চট্টগ্রাম নৌ জেটি থেকে রওনা দিয়েছে।
এ’ই দুটি জাহাজে মোট ৬০০ করে ১২০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের অন্যান্য জাহাজগুলোও জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য যাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।পরে ক্ষয়ক্ষতির বাস্তব চিত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করা হয়। এ ছাড়া ১১৯ জন বিমানবাহিনীর সদস্যের একটি দল বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সাতক্ষীরায় গেছে।