ঘূর্ণি’ঝড় ‘আম্ফান’ মোকাবিলায় বরগুনায় সাধারণ মানুষকে নিরাপদে রাখতে ৬১০ আশ্রয়’কেন্দ্র প্র’স্তুত করা হয়ে’ছে। একই সঙ্গে ঘূ’র্ণিঝড় পূর্ব’বর্তী এবং পর’বর্তী উদ্ধার তৎপরতাসহ ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনার জন্য একটি যুদ্ধ’জাহাজ ও ল্যান্ডিং ক্রা’ফটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ডি’সি মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, জেলায় কৃ’ষকের উৎপাদিত বোরো ধানের মধ্যে ৮০ ভাগ ধান ই’তোমধ্যে ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছ। শতভাগ তরমু’জ, মু’গডাল এরং সূর্যমুখী কৃষকরা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের এখানে ভু’ট্টার ব্যা’পক ফলন হয়েছে। কিন্তু পরিপক্ক না হওয়ায় মাত্র ৫০ ভাগ ভুট্টা আ’মরা ঘরে তুলতে পেরে’ছি। বাদামের বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু পরিপক্ক না হও’য়ায় বাদাম ঘরে তোলা যায়নি।
বে’ড়িবাঁধের নাজুক অবস্থা নিয়ে ডিসি বলেন, বরগুনা জেলায় প্রায় ৮০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ২০ কিলো’মিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। ইতোমধ্যে আমরা ঝুঁ’কিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কা’রের জন্য চারটি টিম গঠন করেছি। এই টিমগু’লো বেড়িবাঁধ মেরামত কাজে নিয়োজি’ত রয়েছে। সমুদ্রে অবস্থানরত সব মাছ ধরা ট্রলা’র ইতোমধ্যেই আমরা নিরাপদে নিতে সক্ষম হয়েছি।
সং’বাদ সম্মে’লনে বরগু’না-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, আমরা সাধারণ মানুষের পাশে র’য়েছি। শুধু আমা’দের একটাই অনুরোধ সাধারণ মানুষ যেন; আমাদের কথা রাখেন।
আ’মা’দের নির্দেশনা অনু’যায়ী তারা যেন নিরাপদ আ’শ্রয়ে চলে যান। তারা যদি স্বেচ্ছায় ও নি’রাপদ আশ্রয় না যান তাহলে আমরা বলপ্রয়ো’গ করতে বাধ্য হব।তিনি আরও বলেন, করো’নাভাইরা’সের মহামা’রির মধ্যে এরকম একটি ঘূ’র্ণি’ঝড় আমাদের চরম বিপাকে ফেলে দিয়েছে।
তা’রপরও আ’মরা সর্বোচ্চ প্র’স্তুতি গ্রহণ করে’ছি। সাধারণ মানুষকে সহ’যোগিতার জন্য আমা’দের পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে।