প’শ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জে’লাগুলোয় ধ্বংসলীলা চালাতে তীব্র গতিতে এগিয়ে আসছে আম্পান।বাদ পড়বে না রাজ্যের রাজধানী কলকাতাও।
ক’লকাতা আবহাওয়া দপ্তরের সবশেষ বুলেটিন অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপ থেকে ৮৫ কিলোমিটার দূরে, রাজ্যের মেদিনীপুর জে’লার দীঘা সমুদ্র থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে এবং কলকাতা থেকে ১৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে আম্পান। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার করে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসছে।ইতোমধ্যে উড়িষ্যার পারাদ্বীপে আম্পান তার ধ্বংসলীলা দেখাতে শুরু করে দিয়েছে।
পা’শাপাশি প’শ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবেশ করার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে ভেঙে পড়েছে একাধিক গাছ। উড়ে গেছে অনেক বাড়ির টিন ও খড়ের চাল। আম্পান সমস্ত শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়ার আগেই এ অবস্থা।অ’পরদিকে, তাদের মতে ১১০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে পূর্ব কলকাতার গা ঘেঁষে যাবে ঝড়টি।
অ’র্থাৎ ক্ষতির মুখ দেখতে পারে সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউন, কলকাতা বিমানবন্দর ইত্যাদি অঞ্চলগুলো। এছাড়া গোটা কলকাতায় শুরু হয়েছে প্রবল ঝড় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া।ইতোমধ্যেই কলকাতার বিপদজনক বাড়িগুলো থেকে সরানো হয়েছে লোকজনদের। আম্পান আসার আগেই তার দাপট দেখানো শুরু করে দিয়েছেন।
শ’হরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সমস্ত উড়ালপুলে যাতায়াত। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সাধারণ জনগণের পথের বের হওয়া। বন্ধ আছে দোকান বাজার পাট অফিস এবং সমস্ত প্রতিষ্ঠান।এছাড়া আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানা যায়, আম্পান তিনটি স্তরে বিভক্ত, মা’থা-চোখ-লেজ। এর জেরে দু’বার তার দাপট দেখাবে আম্পান।
প’শ্চিমবঙ্গের স্থলভাগের ধাক্কা খেয়ে সুন্দরবনের পাশ দিয়ে বাংলাদেশের দিকে রওয়ানা দেবে।এরপর কিছুক্ষণের জন্য স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে পশ্চিমবাংলার আবহাওয়া। হতে পারে সাধারণ বৃষ্টি এবং হালকা হাওয়া। তখন বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার।