মা’শরাফী বি’ন মো’র্ত্তজা বলেছেন, দেশের ক্রিকেটারদের আলোচিত আন্দোলনের সময় ড্রেসিংরুমে তাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছিল। বুধবার (২৭ মে) ইউটিউব চ্যানেল ‘নটআউট নোমান’ এ লাইভ আড্ডায় যুক্ত ছিলেন মাশরাফী। সেখানেসঞ্চালক সাংবাদিক নোমান মোহা’ম্ম’দের করা প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক।
প্র’শ্ন ছিল’ এম’ন- এত বড় একটা আন্দোলনে ক্রিকেটাররা আপনাকে ডাকেনি। এটা আপনার কত বড় কষ্টেরজায়গা ছিল? মাশরাফীর পুরো উত্তর হুবহু তুলে ধ’রা হলো, ‘এটা যার সাথে হবে, সে হয়তো বা আরো ভালো বুঝতে পারবে। মানুষ অনেক সময় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে দুর্বল জায়গাগু’লো দেখাতে চায় না।
ত’বে আ’মি অ’স্বীকার করব এটা আমা’র অত্যন্ত কষ্টকর একটা জিনিস ছিল। ওরা যে ১১ দফা দাবি করে, আমা’র দেখার পরে মনে হয়েছে এখানে ১২ দফা হওয়া উচিত ছিল। সেটা এই জন্য- ১২তম লাইনটা হওয়া উচিত ছিল, আমর’া এর ভেতরে মাশরাফীকেডাকিনি।
হয়’তো বা যা’রা এই আয়োজনটা করেছে তারা বু’দ্ধিমত্তার পরিচয় দিত। কারণ আমি তখনও অবসরে যাইনি, তখন আমি অধিনায়কও। স্বাভাবিকভাবে সবাই প্রশ্ন করবে, তাহলে মাশরাফী কই গেল? আপনি একটা বু’দ্ধিমান মানুষহয়ে, এতগু’লো ছেলেরা এক হলো, আপনারা এটা চিন্তা করবেন না, এটা কেমন জিনিস।
আমা’র কা’ছে এ’টা তাৎক্ষণিক মনে হয়েছিল।’‘পর দিন তামিমের স”ঙ্গে আমা’র রাত্রে কথা হয়েছিল। তখন তামিমকে আমি এই কথাটা বলেছিলাম,তোদের দাবি হওয়া উচিত ছিল ১২টা। আমাকে ডাকিসনি এটা ভিন্ন মতামত। তোদের মনে হয়েছে, ডাকিসনি এটা আমা’র কাছে কোনো ইস্যু না। কিন্তু মানুষজনের জন্য তোরা কী রেখে গেলি?
মা’নুষজন য’খন বলবে, মাশরাফী কোথায়? তোরাএটা কেন। পরিষ্কারভাবে বলে দিলেই ‘হতো আমর’া মাশরাফীকে রাখতে চাচ্ছি না। জুনিয়রদের কাছে আমাকে ছোট করার তো কোনো দরকার ছিল না। এরপর যেটা হয়েছে, আমি কিন্তু ওদের কারো সাথে না বলেই আমা’র ফ্যানপেজেস্টেটমেন্ট দিয়েছি, যে খেলোয়াড়দের ১১ দফার দাবির সাথে আমি একমত…।
আ’মাকে কো’নোভাবে সব’চেয়ে আনন্দের জায়গা, শান্তির জায়গা। পরিবারের অংশ তারা।অ্যাভয়েড করতে চেয়েছিল। সেটা ঠিক আছে…। আমি অধিনায়ক হয়েও কখনো জাহির করতে চাইনি। চাবও না। আমাকে নাতবে এটা নিয়ে আমা’র কোনো আফসোস নেই…।
আ’ফসোস য’দি থেকেও থাকে সেটা আমি কোনো একটা মিটিংয়ে তাদেরকে বলেছিলাম পরিষ্কারভাবে।’‘এখনো আমর’া একসাথে আড্ডা দিই। আমা’র ভেতরে এটা নিয়ে বিন্দুমাত্র ক্ষো’ভনিয়ে আমি বসবাস করিনা। প্রশ্ন আসছে তাই সত্যিটা বললাম, এটাই কথা। আমা’র পরিবার যেমন আমা’র একপাশে, আমা’র সতীর্থেরা আমা’র অন্য পাশে আছে। কারণ ওরা আমা’র পরিবার
ব’ছরের প’র বছর ঈদের আনন্দ, রোজারআনন্দ, সবকিছু তাদের সাথে ভাগাভাগি করেছি। ছোটখাটো সমস্যা নিয়ে দুঃখগু’লোকে এক করে রাখার মানে হয় না। ওরাই আমা’র সবচেয়ে আনন্দের জায়গা ছিল, খেলাটাকেই তো ভালোবাসি।
এ’টা নি’য়েই আনন্দ বেশি। ওরাই আমা’রসবচেয়ে আনন্দের জায়গা, শান্তির জায়গা। পরিবারের অংশ তারা।