বি’এনপি চে’য়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া শর্ত সা’পেক্ষে মু’ক্তির দুই মা’সের মাথায় দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং ঐ’ক্যফ্রন্ট নে’তাদের সঙ্গে মতবিনিময় ক’রছেন।
তি’নি তার গু’লশানের বা’সভবন ফিরোজায় স্বাস্থ্যবিধি প্র’তিপালন করে কথা বলছেন নেতাদের সঙ্গে। ফো’নেও ক’থা বলছেন কারো কারো সঙ্গে। মূলত তিনি শুভেচ্ছা বিনিময় এবং ক’রোনা ভাই’রাস পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ আলোচনা করছেন।
ম’হামা’রির এ প’রিস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের করণীয় স’ম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। স্থায়ী কমিটির এ’কাধিক সদস্যের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, মুক্তির শর্ত এবং আইনগত বি’ষয়ে তি’নি খুবই সচেতন। সেভাবেই তিনি তার অবস্থানে থাকবেন এবং কর্মকাণ্ড চালাবেন।
এ’জন্য তি’নি বি’শেষজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেছেন। দলের নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানই আছেন।
তবে খা’লেদা জিয়া এখন মুক্ত, তাই দলে তার যে করণীয় রয়েছে তা তিনি করবেন।তার পরদিন ১২ মে বেগম খালেদা জিয়া তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শি’মুল বিশ্বাসকে ডেকে কথা বলেন। গত মঙ্গলবার রাতে নাগ’রিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও জাতীয় ঐ’ক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন।
বু’ধবার রা’তে সাক্ষাৎ করেন দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। বেগম জিয়া ক’রোনা আ’ক্রান্ত গণ’স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে ফোন করেন।
খা’লেদা জি’য়া তার বাসা থেকে শিমুল বিশ্বাসের মাধ্যমে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্য কিছু ফল ও একগুচ্ছ ফুল পাঠান।দলের স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জানান, খালেদা জিয়ার মুক্তিতে দল অনেকটা চাঙ্গা।
শী’র্ষ নে’তাদের মা’ধ্যমে দেশবাসীর প্রতি যে বার্তা তিনি দিচ্ছেন তাতে নেতারা সন্তুষ্ট। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়া আহ্বান জানিয়েছেন, জ’নগণ যেন ঘরে থাকে এবং এই ম’হামা’রিকে প্রতিরোধ করবার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যে সমস্ত বিধান দিয়েছে তা যেন তারা মেনে চলে।
বে’গম জি’য়া সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন যে, এত প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বিএনপির নেতাকর্মীরা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করেছেন।স’রকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, ন’জরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দলীয় প্রধানের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
খা’লেদা জি’য়ার শা’রীরিক অবস্থা সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তার শা’রীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তবে মা’নসিক অবস্থাটা তার অনেক ভালো হয়েছে।’
মা’হমুদুর র’হমান মা’ন্না বলেন, ‘ঈদের সৌজন্য সাক্ষাত্ হিসেবেই গিয়েছিলাম বেগম জিয়াকে দেখতে। চেহারায় তাকে ফ্রেশ লেগেছে। তবে অ’সুস্থতা আগের মতোই আছে। তার বাম হাত বেঁকে গেছে। তুলতে পারেন না, ডান হাতেও ব্যথা।
তবে তা’র মনোভাব আগের মতোই অটুট আছে।’ মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বললাম, কেমন আছেন।
তিনি জা’নালেন, ঈ’দুল ফিতরের দিনে জাউ ছাড়া কিছু খেতে পারেননি। আজ একটু সেমাই খেয়েছেন।এদিকে একটি সূত্র জানায়, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কা’র্যকর দেখতে চান খালেদা জিয়া। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গতকাল বলেন, ‘বেগম জিয়া জোট নিয়ে পজিটিভ।
রা’জনীতি না থা’কলে কারো জন্যই লাভ হবে না। উনি হয়তো সে’টা বুঝেছেন। আর সেটা করতে হলে সবাইকে নি’য়েই করতে হবে।’
দ’লীয় সূ’ত্রে জানা গেছে, বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জো’টের অনেক নেতা বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করার আগ্র’হ প্রকাশ করেছেন। পর্যায়ক্রমে তিনি সকলের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাক্ষাৎ দিবেন।