পো’শাক কা’রখানার শ্র’মিক মৌসুমী আক্তারের ম’রদেহ ক’রোনা স’ন্দেহে তিস্তা নদীতে ফে’লে দেয়া ও দাফনে বা’ধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মৃ’ত্যুর ২ দিন পর গত রোববার রাতে ওই নারীর ম’রদেহ তিস্তা নদী থেকে উ’দ্ধার করেছে পুলিশ।
সো’মবার স’ন্ধ্যায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজে’লা পরিষদের চেয়ারম্যান রহুল আমিন বাবুল ও ইউএনও মশিউর রহমানের উপস্থিতিতে পুলিশ জানাজা শেষে স্থানীয় কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করেন। মৃ’ত পোশাক শ্র’মিক মৌসুমী আক্তার ওই উপজে’লার বুড়িমারী ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে ও একই উপজে’লার বাউড়া ইউনিয়নের স’রকারের হাট এলাকার মিজানুর রহমানের স্ত্রী।
পু’লিশ ও নি’হতের পরিবার জানান, স’রকারের হাট এলাকার আবুল কালামের ছেলে মিজানুর রহমানের সঙ্গে ৬ মাস আগে বিয়ে হয় পোশাক শ্র’মিক মৌসুমী আক্তারের।
বি’য়ের পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটলে একাই গাজীপুরে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন মৌসুমী। গত বৃহস্পতিবার (২১ মে) শা’রীরিকভাবে অ’সুস্থতা অনুভব করলে ট্রাকযোগে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
মে’য়ের ম’রদেহ বুঝে নিয়ে বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নিসাদকে মোবাইলে বি’ষয়টি অবগত করে নিজ এলাকায় দাফনের অনুমতি চান। কিন্তু স্থানীয় লোকজন ওই ম’রদেহসহ পুরো বাড়ি এবং ম’রদেহবাহী গাড়ি পু’ড়িয়ে দেয়ার হু’মকি দেন বলে অভিযোগ মৃ’তের বাবা গোলাম মোস্তফার।
নি’রুপায় হ’য়ে গরিব বাবা মেয়ের ম’রদেহ দাফন করতে তাজহাট এলাকার একজন লা’শবাহী গাড়ি চালককে ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।
তা’রা ম’রদেহ দাফনের আশ্বাস দিয়ে বাবাকে বাড়ি পাঠিয়ে ম’রদেহটি তিস্তা নদীতে ফে’লে দেন।দুইদিন পরে স্থানীয়দের খবরে রোববার (২৪ মে) রাতে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজে’লার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামে তিস্তা নদী থেকে স’রকারি ব্যাগে মোড়ানো অ’জ্ঞাত ম’রদেহটি উ’দ্ধার করে আদিতমারী থানা পুলিশ।
আ’দিতমারী থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। স’রকারি ব্যাগে মোড়ানো ম’র্গের ম’রদেহ উ’দ্ধারের ঘটনায় ইউডি মা’মলা করা হয়েছে। মৃ’তের পরিচয় জানার পরে মেয়ের বাবার আকুতি শুনে পুলিশ সুপারের নির্দেশে দুই থানা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে ম’রদেহ তার গ্রামে দাফন করা হয়েছে।
ঊ’র্ধ্বতন ক’র্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন মোহন্ত জানান, পুলিশ সুপারের নির্দেশে উপজে’লা প্রশাসনকে নিয়ে ওই নারীর দাফন করা হয়েছে। পরিবার অভিযোগ দিলে অব্যশই ব্যবস্থা নেয়া অবশ্যই হবে।