লক’ডাউনে দুধ কিনতে না পেরে আদিবাসী এক মা স’ন্তানের মুখে তুলে দিলেন ভাতের মাড়। এমন অবস্থায় সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এলেন থানার ওসি।ভারতের কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া নোনাগঞ্জ গ্রামে আদিবাসী পরিবারে এ ঘটনা ঘটেছে। কর্মহীন হয়ে পড়া আদিবাসীরা জানান, কাজকর্ম বন্ধ হয়ে থাকায় চ’রম অসুবিধার মধ্যে পড়েছেন।
কো’লের স’ন্তানদের জন্য দুধ জোগাড় করতে পারছেন না। স’রকারের পক্ষ থেকে শি’শুদের জন্য দুধের ব্যবস্থা করা হয়নি, বা’ধ্য হয়েই ভাতের মাড় খাওয়াচ্ছিলেন।খবরটি কানে পৌঁছতেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হন কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি রাজশেখর পাল।
শ’নিবার (৯ মে) শি’শুদের জন্য বেবি ফুড ও বয়স্ক নারীদের জন্য পুষ্টিকর খাবার নিয়ে গ্রামে যান রাজশেখর।কয়েকদিন ধরে কোলের স’ন্তানকে ভাতের মাড় খাইয়েছিলেন গৃহবধূ লক্ষ্মী সর্দার। শনিবার বেবি ফুড পেয়ে তার চোখে আনন্দের ছাপ। তিনি বলেন, পুলিশ এমন হয় নাকি?
উ’নি নিশ্চয়ই ভগবান। আমার বাচ্চা দুধ খেতে পারছিল না। আমার বাচ্চার জন্য দুধ দিলেন। উনি তো ভগবান।সংবাদ প্রতিদিন জানায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য স’রকার ক’রোনাজনিত দ্বিতীয় দফা লকডাউনের আগেই দুধ সরবরাহে ছাড় দেয়।
কি’ন্তু সে সুফল সবার কাছে ঠিকমতো পৌঁছায়নি। তাই চ’রম সমস্যায় পড়েছেন নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া নোনাগঞ্জ গ্রামের আদিবাসী পরিবারগুলো।