কো’য়ান্টাম পদার্থবিদের একটি দল দাবি করছে, এই টেস্টের মাধ্যমে ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ সঠিক ফলাফল পাওয়া সম্ভব হবে। দুবাইয়ের কোয়ান্টলেস ইমেজিং ল্যাব বলছে ভ্যাকসিন যতদিন বাজারে না আসছে ততদিন এই প্রযু’ক্তি ভাই’রাস শনাক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।পরীক্ষার পদ্ধতিটি কি?লেজার মেশিনে এক ফোঁটা র’ক্তের সাহায্যে পরীক্ষা করা হবে। কোয়ান্টলেস ই’মাজিং ল্যাব অনেক গবেষণার পর এই সিস্টেম তৈরি করেছে।কিভাবে কাজ করে?ডায়াবেটিস যেভাবে পরীক্ষা করা হয় সেভাবে হাত থেকে সামান্য র’ক্ত নিয়ে পরীক্ষা করা হবে।
এ’কটি স্লাইডের উপর নিয়ে তারপর মেশিনে পাঠানো হবে। তারপরে র’ক্তের নমুনায় একটি লেজার জ্বলজ্বল করে রাখা হয়, যা এমন একটি প্যাটার্ন প্রবর্তন করে তা ক্যামেরায় ধ’রা পড়ে।এই প্যাটার্নটি অ্যালগরিদম দ্বারা বিশ্লেষণ করা হয়েছে যা ব্যক্তি সুস্থ বা অ’সুস্থ কিনা তা নির্ধারণ করতে অন্যান্য নমুনার সাথে তুলনা করে। গবেষণার প্রধান ড. প্রমোদ কুমা’র বলছেন, একটি অস্বাস্থ্যকর র’ক্তকণিকা এবং একটি স্বাস্থ্যকর র’ক্তকণিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন রয়েছে।
এ’র মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তিকে খুব সহ’জে আলাদা করা যাবে। স্বাস্থ্যকর ব্যক্তির র’ক্তকণিকা লেজার আলোর নিচে পুরো গো’লাকার দেখা যায়, তবে সেই রিংটি অস্বাস্থ্যকর কোষগু’লিতে নষ্ট হয়ে যায় এবং এগু’লি ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেখায়। ড. কুমা’র বলছেন, যদি র’ক্তের কোষে একটি লেজার জ্বলজ্বল করে এবং যদি কোনও সংক্রমণ হয় তবে র’ক্তের কোষটি বি’কৃত হয়ে যায় বা আকার, ঘনত্ব, অঙ্গে পরিবর্তিত হয়।করো’নাভাই’রাস কিভাবে শনাক্ত করতে পারে?সব ভাই’রাসের নিজস্ব একটা আকার আছে।
অ্যা’লগরিদম র’ক্তে যা দেখায় তা অনুসন্ধান করে।কতটা সঠিক?শতকরা ৮৫ থেকে ৯০ ভাগ ফলাফল ইতিবাচক। শতকরা ৪ ভাগের ফলাফল ভুল আসতে পারে। আর এই ৪ শতাংশের বিষয়টি উন্নতির চেষ্টা করা হচ্ছে।এখন পর্যন্ত ট্রায়াল হিসেবে ৬ হাজার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই এর অনুমোদন।