খা’গড়াছড়িতে এ’কমাত্র ক’রোনা আ’ক্রান্ত ব্যক্তি দীঘিনালার এরশাদ চাকমার (৩৫) শরীরে তৃতীয় দফায়ও ক’রোনা শনাক্ত হয়নি।
দ্বি’তীয় ও তৃ’তীয় দফায় ফলাফল নেগেটিভ আসার ফলে এ পোশাক শ্র’মিক ক’রোনামুক্ত হলেন। সা’থে সা’থে ক’রোনামুক্ত হলো খাগড়াছড়ি পার্বত্য জে’লা। শু’ক্রবার (৮ মে) রা’ত ১০টার দিকে বি’ষয়টি নিশ্চিত করেন খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডাক্তার নূপুর কান্তি দাশ।
দী’ঘিনালা উ’পজে’লা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তনয় তালকুদার জানান, ‘ক’রোনা আ’ক্রান্ত এরশাদ চাকমা গত ১৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে দীঘিনালায় আসেন। এ’রপর থে’কে তাকে কামুক্যাছড়া স’রকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
২২ এ’প্রিল ন’মুনা সংগ্রহ করা হলে তার শরীরে ক’রোনাভা’ইরাসেের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এ’রপর থে’কে স্ত্রীসহ এরশাদ চাকমাকে দীঘিনালার হোটেল ইউনিটে আইসোলেশনে রাখা হয়।
তা’র শ’রীরে ক’রোনাভা’ইরাসের কোনো উপসর্গ না থাকলেও প্রথমে পজেটিভ রিপোর্ট আসে। প’রে দ্বি’তীয় দফায় স্বামী-স্ত্রী দুজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ও’ই রি’পোর্টে দুজনেরই ক’রোনা নেগেটিভ আসে।
এ ছা’ড়া তা’র সংস্পর্শে আসা আরও ১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে তাদের সবারই রিপোর্ট নেগেটিভআসে। খা’গড়াছড়ির সি’ভিল সার্জন ডাক্তার নূপুর কান্তি দাশ জানান, ৮ মে পর্যন্ত খাগড়াছড়িতে একজনের ক’রোনা পজেটিভ ছিল।
যে’হেতু তা’র দ্বিতীয় ও তৃতীয় নমুনার ফলাফল নেগেটিভ এসছে সেহেতু এখন তিনি ক’রোনামুক্ত। খা’গড়াছড়িতে আর কোনো ক’রোনা পজেটিভ নেই।
প্রা’ণঘাতী ক’রোনা ভা’ইরাস আ’ক্রান্ত রো’গীদের চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ১২টি নির্ধারিত হাসপাতালে পুরোদমে চলছে চিকিৎসা। রো’গীদের সে’বায় সর্বোচ্চ দেয়ার কথা বলছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সরা।
ত’বে দি’ন দিন রো’গীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। এ’দিকে, রো’গীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় কিছুদিনের মধ্যে আরও তিনটি হাসপাতালে ক’রোনা চিকিৎসা শুরু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রা’জধানীতে কো’ভিড নির্দিষ্ট ১২টি হাসপাতালে পুরোদমে চলছে ক’রোনা আ’ক্রান্তের চিকিৎসা। বা’ড়ছে সং’ক্র’মণ বাড়ছে রো’গীর সংখ্যা, তৈরি হয়েছে শয্যা সং’কটও। ত’বে হা’র মানতে নারাজ চিকিৎসক নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। গ’তকাল শু’ক্রবার পর্যন্ত এসব হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রায় ১৬শ’ রো’গী।
ক’তৃর্পক্ষ ব’লছে, হাসপাতালে আসা প্রতিটি রো’গীর সেবা নিশ্চিতে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর কাজ করছেন তারা। বি’ষয়ে ঢা’কা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, এখন আমরা বার্নটাতে কাজ করছি।
খু’ব শি’গগিরই যখন আমরা মেডিসিনটা চালু করবো, তখন ওখানে অনেক রো’গী চলে আসবে। এ’দিকে, দু’ই একদিনের মধ্যে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালেও কোভিড-১৯ এ আ’ক্রান্তদের চিকিৎসায় দেয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ’রপরপরই ব’সুন্ধরায় ২ হাজার ও মহাখালীর ডিএনসি মার্কে’টের ১ হাজার ৫০০ শয্যার হাসপাতাল চালু হবে।
অ’ধিদপ্তরের প’রিচালক (হাসপাতাল শাখা) আমিরুল হাসান জানান, আরো কিছু হাসপাতাল চালু করতে যাচ্ছি। হ’লি ফ্যা’মিলির একটা যেটা ৫শ’ বেডের, দুই একদির মধ্যে চালু হবে।
আ’বার ব’সুন্ধরায় আমাদের ২ হাজার বেডের চালু হবে। তারপর ডিএনসি মার্কে’টে ১৫শ’ বেড চালু হবে। জ’নস্বাস্থ্য বি’শেষজ্ঞদের পরামর্শ কোভিড আ’ক্রান্ত রো’গীদের চিকিৎসার নির্ধারিত হাসপাতালগুলোর বাইরেও অন্যান্য হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার।
ক’রোনা ভা’ইরাসে এখন পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জে’লায় আ’ক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রা’ণহা’নি দুই শতাধিক।