নামাজ বা সালাত হল ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনাকর্ম। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ নির্দিষ্ট সময় আদায় করা প্রত্যেক মু’সলিমের জন্য ফরজ। নামায ইসলামের
পঞ্চস্তম্ভের একটি। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাযই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। ‘সালাত’-এর আভিধানিক অর্থ দোয়া, রহমত, ক্ষমা প্রার্থনা করা ইত্যাদি।
ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বি’ষয় হল নামাজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর পক্ষ থেকে বার বার নামাজের তাগিদ পেয়েছেন। কোরআনে পাকে আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন জায়গায় সরাসরি ৮২ বার সালাত শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
তাই প্রিয়নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন।
প্রশ্ন: মেয়েদের হোস্টেলে কোনো একজন মেয়েকে ইমাম বানিয়ে মেয়েরা কি জামাত করতে পারবেন?
উত্তর: হ্যাঁ, অবশ্যই। মেয়েদের হোস্টেলে যদি তারা ইমামতি করে জামাতে সালাত আদায় করতে চান, তাহলে
প্রথমত, তাদের জন্য জামাতে সালাত আদায় করা জায়েজ; দ্বিতীয়ত তাদের মধ্যে একজন ইমাম নিয়োগ
করা, এটিও জায়েজ রয়েছে এবং তাদের যে ইমাম রয়েছে, তিনি একসঙ্গে কাতারে দাঁড়াবেন।
এটাই প্রসিদ্ধ এবং বিশুদ্ধ বক্তব্য। এটাকেই অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম এবং এ যুগের গবেষকরা জায়েজ
বলেছেন। সুতরাং, যদি মেয়েদের মধ্যে ইমামতি করার জন্য উপযুক্ত কেউ থাকে, তাহলে তিনি ইমামতি করতে
পারবেন এবং তার ইমামতিতে মেয়েরা সালাত আদায় করবে, কিন্তু কোনো পুরুষ নয়। মেয়েদের ইমামতিতে কোনো ছেলে বা পুরুষ সালাত আদায় করতে পারবে না।